BRAKING NEWS

ইটভাট্টা থেকে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত স্বামী

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনিয়া, ২১ জুলাই: রবিবার চিত্তামারা এলাকার এক ইট ভাট্টাতে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এবার মৃতদেহ উদ্ধার হয় পার্বতী ব্রিকস ইন্ড্রাসটিজ নামে শ্রমিক শেল্টার হাউসে। মৃতঃ মহিলার নাম ললিতা দেবী(৪৫),  স্বামী দেবা নাগা শিয়া। বাড়ি ঝাড়খন্ড এলাকায়।

গত কিছুদিন আগে পার্বতী ব্রিকস ইন্ড্রাসটিজে শ্রমিক হিসেবে কাজে নিযুক্ত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। এরপর খবর দেওয়া হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিম ও ডি সি এমকে । খবর পেয়ে ছুটে আসে ফরেনসিক দল ও ডি সি এম । মৃতার কাছে পরে থাকা বিভিন্ন কিছু সেম্পল সংগ্ৰহ করে। এরপর  ললিতা দেবীর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিলোনিয়া হাসপাতালের মর্গে।

জানা যায়, পার্বতী ব্রিকস ইন্ড্রাসটিজের ভাট্টার শ্রমিকেরা কাজের জন্য ললিতা দেবীকে ডাক দেওয়ার পর, কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয়।এরপর ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই আৎকে উঠে এক শ্রমিক। এই শ্রমিক সহ অন্যান্য শ্রমিকেরা ছুটে এসে দেখে ললিতা দেবী বিছানায় শুয়ে আছে। শরীরে কোন কাপড় নেই, মাথায়, নাকে, মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের মধ্যে স্বামী দেবা নাগাশিকাও নেই। সাথে সাথে খবর দেয় ভাট্টার ম্যানেজার সহ মালিককে। খবর পেয়ে ছুটে আসে ম্যানেজার। খবর দেওয়া হয় থানাতে। পুলিশ বিভিন্ন কিছু জিগাসাবাদ ও তদন্ত করে জানতে পারে স্বামী দেবা নাগাশিকা স্ত্রী ললিতা দেবীকে হত্যা পালিয়েছে।

পুলিশ দেবা নাগাশিকার ছবি পাঠিয়ে বিভিন্ন রেল স্টেশন , মোটর স্ট্যান্ড ও থানাতে  তাকে আটকানোর জন্য অবগত করে। সেই মোতাবেক পুলিশ বিলোনিয়া রেল স্টেশন চত্বর থেকে দেবা নাগাশিকাকে গ্ৰেপ্তার করে আজ সকাল নয়টা নাগাদ। নিয়ে আসা হয় থানাতে। পুলিশ হত্যার মামলা নিয়ে আজ দুপুরে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করে অভিযুক্ত খুনি স্বামী দেবা নাগাশিকাকে। এই পার্বতী ব্রিকস ইন্ড্রাসটিজ কত যে গাফিলতি রয়েছে তার প্রমাণ পেল পুলিশ। ললিতা দেবী সহ দেবা নাগাশিকার কোন আইডি প্রুফ ছিল না। আইডি প্রুফ না থাকার সত্বেও কাজে নিয়োজিত করলো ম্যানেজার সহ মালিক । এই ভাট্টা বর্তমানে পরিচালনা করেছেন বিশাল গড়ের সুমন সেন সহ আরো কয়েকজন।

এই দিকে পার্বতী ব্রিকস ইন্ড্রাসটিজের শ্রমিকদের অবস্থা শোচনীয়। থাকার পরিবেশ নেই শ্রমিকদের। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে থাকতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এই বিষয়ে ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিভিন্ন কিছু বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যায় এবং কথার মধ্যে অসংলগ্নতা ফুটে ওঠে। এখন প্রশ্ন হলো জেলা শ্রম দপ্তর কেন ভাট্টা গুলিতে নজরদারি রাখছে না। নাকি অন্য রহস্যের জেরে কুম্ভ কর্ণ নিদ্রায় শায়িত দপ্তরের আধিকারিকরা ঘুরপাক খাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *