আগরতলা, ১৬ জুলাই : পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্ত হয়েছেন বামেরা। সুনির্দিষ্ট কিছু আবেদনের ভিত্তিতে গতকাল আদালতে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। আজ হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং এবং বিচারপতি এস ডি পুরকায়স্থের খন্ডপীঠে ওই আবেদন গৃহীত হয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছেন বামেরা। বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী বাদল শীলের মৃত্যুতে পারদ আরও চড়েছে। শাসক দল বিজেপিকে নিশানায় নিয়ে বামেরা প্রতিনিয়ত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। ঘন ঘন তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের দ্বারস্থও হচ্ছেন। কিন্তু, পুলিশের বিরুদ্ধেই অসহযোগিতার অভিযোগ এনে তাঁরা গলা ফাটাচ্ছেন।
গতকাল প্রার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের সাথে দেখা করেছিলেন বামেরা। তাঁদের দাবি, প্রার্থীদের এসকর্ট করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হোক। কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছাড়া এধরণের ব্যবস্থা নেওয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয় ডিজিপি তাঁদের সাফ জানিয়েছেন।
সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক ডিজিপি-র সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্ত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এমন কোন নির্দেশ আসেনি, ফলে প্রার্থীদের এসকর্ট করে মনোনয়ন দাখিলের ব্যবস্থা করা পুলিশের সম্ভব নয় বলে ডিজিপি সাফ জানিয়েছেন।
ফলে, আজ তাঁরা আবারও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হয়ে ডিজিপির বক্তব্য তুলে ধরেছেন। বামফ্রন্টের আহবায়ক এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আজ আশ্বস্ত করেছেন প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলে নিরাপত্তার জন্য ডিজিপি নির্দেশ দেবেন। কিন্তু, প্রশাসনের ভূমিকা ভীষণ সন্দেহজনক লাগছে, তাই আমরা ত্রিপুরা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছি।
তাঁর কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়া, ব্লক অফিসের বদলে জেলা শাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত এআরও-র মাধ্যমে মনোনয়ন জমা নেওয়া, মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধি এবং নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরির আবেদন নিয়ে ত্রিপুরা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছি। আজ হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং এবং বিচারপতি এস ডি পুরকায়স্থের খন্ডপীঠে ওই আবেদন গৃহীত হয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই ওই আবেদনের শুনানি হবে।

