নয়াদিল্লি, ৩ জুলাই (হি.স.) : জিকা ভাইরাস নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসের হদিস মেলার পর থেকেই এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা যাতে এই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত না হন, তার নিয়মিত খেয়াল রাখার কথা বলা হয়েছে।
২০১৬ সালে প্রথম গুজরাটে এই জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। এরপর দেশের একাধিক রাজ্যে এই ধরনের ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল কেরল, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ। ২ জুলাই পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সব মিলিয়ে আটজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যাতে এডিশ মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তার সমস্ত ব্যবস্থাকে পাকা করে রাখতে হবে। সমস্ত আবাসিক এলাকা, কর্মস্থল, স্কুল, নির্মীয়মাণ বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলিতে যাতে মশার বাড়বাড়ন্ত না হয় সেটা দেখার ব্যাপারে বলা হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে এই জিকা ভাইরাসের হদিস মিলেছে। এই জিকা ভাইরাস গর্ভবতী মায়ের পেটের ভেতরে থাকা ভ্রুণকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে সেক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যকে এনিয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলাদের দিকে বাড়তি নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে। এলাকাগুলিকে মশামুক্ত রাখার ব্যাপারেও বলা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জিকাতে আক্রান্ত হলেও তার লক্ষণ শরীরে বিশেষ দেখা যায় না।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জিকা মূলত এডিশ মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটা অনেকটা ডেঙ্গি ও চিকুগুনিয়ার মতো। তবে এই রোগ থেকে সেভাবে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হতে পারে। গর্ভস্থ শিশুর মাথার আকৃতি কমে যায়। এটা একটা বড় উদ্বেগের বিষয়।