নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৪ জুন: ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের বাবুর বাজারে সোনাভ্যালী কৃষি সমবায় সমিতি দীর্ঘদিন ধরেই অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বাবুরবাজারে অবস্থিত প্রাচীনতম সোনাভ্যালী কৃষি সমবায় সমিতি। ১৯৭৭ সালে সমবায় সমিতির অফিস বাড়ি নির্মান করা হয়। মুলত কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে এই সমবায় সমিতি গঠন করা হয়। প্রথম দিকে এই সমিতির অধিনে দশ বারটি গ্রাম পঞ্চায়ত ছিল। সমিতি থেকে এক সময় কৃষকদের কৃষি ঋণ বিতরণ করা হতো। এখন সমিতির অধিনে কমে গ্রাম পঞ্চায়তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারটি।
এগুলো হলো শ্রীনাথপুর, যুবরাজনগর ও ইয়াজেখাওরা পুর্ব এবং ইয়াজেখাওরা পশ্চিম। সমিতিতে একজন মাএ ম্যানেজার আছেন। তিনি নাম মাএ ম্যানেজার। দিনের পর দিন সমিতির অফিস ঘরটি বন্ধ থাকে। কিন্তু ম্যানেজার বাবুর বেতন -ভাতা ইত্যাদি ঠিকই আছে। সোনাভ্যালী কৃষি সমিতির নিজস্ব জমিতে আলাদাভাবে বেশ কয়েকটি মার্কেট শেড নির্মান করে দেওয়া হয়েছে।
বেকার যুবকরা দোকান খুলে ব্যবসা বানিজ্য করছে। কিন্তু এসব দোকান মালিকেরা ঘরভাড়া কোথায় তথা কার কাছে দেয়? এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে, সমিতি যখন পুরো দমে চালু ছিল সে সময় রেগার পেমেন্ট ও বিভিন্ন ধরনের ভাতা ইত্যাদি জমা রাখতে ব্যাংক এর মত শতাধিক সমিতি ভোক্তাদের নামে একাউন্ট করা হয়। তখন একাউন্ট করতে কারো কাছ থেকে সাতশ টাকা , কারো কাছ থেকে হাজার নেওয়া হয়েছিল।এখন সেই একাউন্টের কোন খোঁজখবর নেই। অনেক সমিতি ভোক্তারা দাবি করেছেন তাদের একাউন্টের সময়ে নেওয়া সেই টাকা যেন ফেরত দেওয়া হয়।
তাছাড়া বর্তমান সরকারের কাছে ভোক্তাদের দাবি ফের যেন এলাকার কৃষকদের উন্নয়নে বাবুরবাজার সোনাভ্যালী কৃষি সমবায় সমিতি চালু করা হয়। এদিকে কৈলাসহর শহরের পর সবচেয়ে বড় ডাকঘর হল উত্তরাঞ্চলের বাবুরবাজার উপ-ডাকঘর। এই ডাক ঘরের অধিনে এলাকায় আরো ছোট ছোট ডাকঘর রয়েছে। সেগুলো হল ইরানি -লাটিয়াপুরা-টিলাবাজার-রাঙাউটি-হিরাছড়া।
এই ডাকঘরের কুড়ি হাজার একাউন্টধারী গ্রাহক সংখ্যা।পায় প্রতি দিন কমকরেও দশ লাখ টাকা জমা ও তোলা হয়। কিন্তু পায় প্রতি দিন নেটের সমস্যায় গ্রাহকরা নাজেহাল হতে হচ্ছে। তাছাড়া পায়ই বিদ্যুৎ যন্ত্রণায় ভুগতে হয় গ্রাহকদের।দু-দুটি দামি জেনারেটর ডাকঘরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। সেগুলো মেরামত হয় না। যদিও ভাড়া ঘরে ডাকঘর চলছে।