নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যানপুর, ২৮ মে:
প্রবল বর্ষণে জলের তলায় কৃষকের সবজি ক্ষেত
সোমবার সারাদিন এবং সারারাতের প্রবল বর্ষণে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে রাঙ্গাপানিয়া নদীর জল। বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গোটা এলাকার কৃষকদের সমস্ত সবজি ক্ষেত ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে রাঙ্গা-পানিয়া নদী।
চড়িলাম ব্লকের চেছুড়িমাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিমল চৌমুহনী এলাকায় দুই ভাই প্রদীপ পাল এবং লিটন পাল ৬০হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ১৭ গন্ডা জমিতে কাকরোল চাষ করেছিল। ভালো ফলন হয়েছে কাঁকরোলের। মাত্র দুই দিন হয়েছে কাকরোল বিক্রি শুরু করেছে দুই ভাই। হঠাৎ করে সোমবার দিন এবং রাতের প্রবল বর্ষণে সমস্ত কাঁকরোল খেত জলের নিচে চলে যায়।
মঙ্গলবার দিন সকালবেলা থেকে গলা সমান জলে নেমে দুই ভাই সমস্ত কাঁকরোল ব্যাগ ভর্তি করে সংগ্রহ করে রাস্তার পাশে রাখে বাজারে বিক্রি করার জন্য। জল জমি থেকে চলে গেলে সমস্ত কাঁকরোল গাছ মরে যাবে বলে জানিয়েছে দুই ভাই। যার ফলে জমি চাষ করতে গিয়ে যত টাকা ব্যয় করেছে সেই আসল টাকাও কাঁকরোল বিক্রি করে আসবে না। যার ফলে ভীষণভাবে চিন্তিত দুই ভাই।
একবার খরায় একবার বন্যায় ধ্বংস হচ্ছে কৃষকের সবজি। যার ফলে সবজি চাষে আগ্রহ দেখায় না এখন কৃষকরা। যার ফলে হু হু করে বাজারে বাড়ছে সবজির দাম। এভাবে যদি একবার খড়ায় এবং একবার বন্যায় সবজি ধ্বংস হয় তাহলে একটা সময় আসবে কৃষকরা কৃষিকাজ ছেড়ে দেবে। প্রদীপ পাল লিটন পাল সহ চেছুড়িমাই পরিমল চৌমুহনী এলাকার এমন বহু কৃষকের সবজি জলের তলায় চলে গিয়েছে। জমিতে গিয়ে মঙ্গলবার দিন জলের অবস্থা দেখে অনেক কৃষক জমিতে নামেনি বাড়িতে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছে।। এ হেন অবস্থায় সরকারিভাবে যদি কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় তাহলে উপকৃত হবে কৃষকরা। সরকারি সাহায্যের দাবি জানিয়েছে অনেক কৃষক।