BRAKING NEWS

“কংগ্রেসের তিনটি খারাপ দিক স্পষ্ট”, জনসভায় ব্যাখ্যা মোদীর

ঝাড়গ্রাম, ২০ মে (হি স) : “কংগ্রেসের মধ্যে তিনটি খারাপ দিক স্পষ্ট, প্রথমত, ইন্ডি জোটের মিত্ররা সম্পূর্ণ সাম্প্রদায়িক, দ্বিতীয়ত, তারা চরম বর্ণবাদী এবং তৃতীয়ত, তারা চরম পরিবারবাদী।”

সোমবার ঝাড়গ্রামের নির্বাচনী সভায় এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, প্রচারমাধ্যম এই লোকদের রক্ষা করে। তারা দেশের সংবিধানের অবমাননার দিকটা দেখে না। এই সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদী এবং পরিবারবাদী লোকেদের মোদীকে জবাবদিহি করার কোনও অধিকার নেই।”

তিনি বলেন, “২০২৪ সালের এই নির্বাচনে, মোদী কংগ্রেসের এই ‘মুসলিম লীগ’ চিন্তাভাবনাকে প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই কারণেই কংগ্রেস রেগে আছেথ। তাদের সমগ্র বাস্তুতন্ত্র এটি এড়ানোর উপায় খুঁজছে। এবারের নির্বাচনে ইন্ডি জোটকে কঠোর শাস্তি দিতে যাচ্ছে গোটা দেশ। সাধারণ, এসসি, এসটি এবং ওবিসি বিভাগের লোকেরা ইন্ডি জোটকে তাদের সংরক্ষণ কেড়ে নিতে দেবে না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “টিএমসি পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আস্থায় আঘাত করেছে। টিএমসি নেতারা রাম মন্দিরকে অপবিত্র বলেছেন। রাম মন্দির নয়, তৃণমূলের উদ্দেশ্য হল অপবিত্র।

কংগ্রেস এবং তৃণমূলের লোকেরা সর্বদা আদিবাসীদের এগিয়ে যেতে বাধা দিয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো, বিজেপি সরকার একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করেছে, কিন্তু এই সমস্ত কংগ্রেস, বাম এবং টিএমসি নেতারা একজোট হয়ে আদিবাসী মহিলাকে নির্বাচনে পরাজিত করার চেষ্টা করেছে। টিএমসি নিজস্ব দলের নেতাকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল। তারা একজন আদিবাদী মহিলাকে মহিলা রাষ্ট্রপতি হতে দিতে চাইছিল না। তাদের জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার নেই। কারণ তারা জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”

মোদী বলেন, মোদী বাংলার উন্নয়নে কাজ করছেন। বিজেপি সরকার ঝাড়গ্রামে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ খুলেছে, বাংলার রেল যোগাযোগ উন্নত করেছে এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলিকে আধুনিকীকরণ করেছে। কিন্তু যেখানে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট হয়, সেখানে বিনিয়োগের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, শিল্পের বিকাশ হয় না। মেদিনীপুর এবং তমলুক শিল্প সম্ভাবনায় পরিপূর্ণ। কিন্তু এত বছর ধরে বাংলার তৃণমূল সরকার এখানে শিল্প বিকাশের অনুমতি দেয়নি।

মোদী বলেন, “এটা শুধু তমলুকের দুর্ভাগ্য নয়, সমগ্র বাংলার দুর্ভাগ্য। জনগণের একটি ভোট টিএমসির পুরো সিন্ডিকেটের উপর চাপের কারণ হবে। মানুষের স্বপ্ন পূরণে দিনরাত কাজ করবেন মোদী।” প্রধানমন্ত্রী এদিন তমলুক থেকে (প্রাক্তন) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কাঁথি থেকে সৌমেন্দু অধিকারী এবং ঝাড়গ্রাম থেকে ডঃ প্রাণনাথ টুডুকে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়ী করে দেশে আবারও মোদী সরকার গঠনের আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *