আগরতলা, ১৮ মে : এক নাবালিকা গৃহবধূকে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা মেডিকেল পরীক্ষা করতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় গাড়ি থেকে নাবালিকাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এক যুবক। পরবর্তী সময়ে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা বিশালগড় থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, গোমতী জেলার বাগমা এলাকার ১৪ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে সোনামুড়া রাঙ্গামাটিয়া এলাকার সোহেল হোসেন নামে এক যুবক বিরক্ত করতো। ওই যুবকের কাছ থেকে বাঁচতে নাবালিকা মেয়েটির মা তার ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে বক্সনগর এলাকার এক যুবকের সাথে বিয়ে দেয়। পরে সিপাহীজলা জেলার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকা গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে যায় এবং নাবালিকা গৃহবধূকে নিয়ে বিশালগড়স্থিত সিপাহীজলা জেলার চাইল্ড লাইন অফিসে নিয়ে আসার জন্য বলে। সেই অনুসারে নাবালিকা গৃহবধূর স্বামী সহ তার বাবার বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে শুক্রবার দুপুরে চাইল্ড লাইন অফিসে আসে। চাইল্ড লাইনের কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেয় যে নাবালিকা গৃহবধূকে সরকারিভাবে হোমে পাঠানোর জন্য। সেই অনুসারে শুক্রবার বিকেলে নাবালিকা মেয়েটিকে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা আগরতলায় সরকারি হোমে নিতে নাবালিকা গৃহবধুটিকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল টেস্ট করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় সোহেল হোসেন নামে ওই যুবকটি একাধিকবার চাইল্ড লাইনের গাড়ি থেকে নাবালিকা গৃহবধুটিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। পরে নাবালিকা গৃহবধূর স্বামী স্বপন মিয়া ওই যুবকটিকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের সামনে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এই ঘটনায় চাইল্ড লাইনের কর্মীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় বিশালগড় মহিলা থানায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ। পুলিশের চেষ্টায় নাবালিকা গৃহবধূকে পাঠানো হয় সরকারি হোমে । আহত সোহেল হোসেন এবং তার বন্ধুকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার পর বিশালগড় মহিলা থানার পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে এই ধরনের ঘটনায় বিশালগড়স্থিত সিপাহীজলা জেলার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা সোহেল হোসেন সহ তার বন্ধুর বিরুদ্ধে বিশালগড় মহিলা থানায় লিখিত মামলা দায়ের করে। শুক্রবার রাতেই বিশালগড় মহিলা থানা থেকে সোহেল হোসেন এবং তার বন্ধুকে শর্ত সাপেক্ষ জামিনে মুক্ত করে। তবে শুক্রবারের এই ধরনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা সোহেল হোসেন এবং তার বন্ধুর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

