BRAKING NEWS

অসমের পাহাড় লাইনে চলছে পণ্যবাহী ট্রেন, ধস-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন রেলওয়ে বোর্ডের এসিই-সদস্যের

হাফলং (অসম), ১১ মে (হি.স.) : লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনের হারাঙ্গাজাও ও জাটিঙ্গা-লামপুর স্টেশনের মধ্যবর্তী ধস-বিধ্বস্ত ১১০/৭ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে বোর্ডের অতিরিক্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিই) সদস্য বিকে গুপ্তা।

রেল বোর্ডের সদস্য জাটিঙ্গা-লামপুরের ধস-বিধ্বস্ত অংশ পরিদর্শন করে রেল লাইনকে সচল করে তোলার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। রেলওয়ে বোর্ডের অতিরিক্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিঙের সদস্যের সঙ্গে ছিলেন ডিআরএম প্রেমরঞ্জন কুমার এবং উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার।

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল হারাঙ্গাজাও এবং জাটিঙ্গা-লামপুর স্টেশনের মধ্যবর্তী ১১০/৭ কিলোমিটার অংশে রেল লাইনের পাশের মাটি বসে যাওয়ার দরুন একটি পন্যবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রেল লাইন মেরামতি করে পাহাড় লাইনে কিছু ট্রেন বাতিল করে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিকে সচল রেখেছেন। বর্তমানে পাহাড় লাইনে শুধু দিনের বেলা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। তবে পাহাড় লাইনে পুরোপুরি রেল চলাচল শুরু হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ পাহাড়ে রেল চলাচল সম্পূর্ণরূপে সচল রাখতে দিনরাত এক করে রেল ট্র্যাক মেরামতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে জাটিঙ্গা লামপুর অংশে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার গতিবেগে ধস-বিধ্বস্ত এলাকা অতিক্রম করছে। এমন-কি গত দুদিন থেকে পণ্যবাহী ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতি বেগে এই অংশ অতিক্রম করেছে। শনিবারও তিনটি পণ্যবাহী ট্রেন যার মধ্যে দুটি ট্রেন জ্বালানি নিয়ে জাটিঙ্গা-লামপুরের ওই ধস-বিধ্বস্ত এলাকা অতিক্রম করে বদরপুরের উদ্দেশ্যে যায়।

ট্রেনগুলি অতিক্রম করার পরই রেলওয়ে ট্র্যাকে কোনও ধরণের সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিনা সে দিকে সম্পূর্ণ দৃষ্টি রেখে চলছেন রেল কর্মীরা। তবে ট্রেনগুলি পার হওয়ার পর রেল লাইনে কিছু কিছু ছোট ছোট সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যদিও সে সব মেরামত করে ট্রেন চালানো অব্যাহত রেখেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ।

তবে বর্তমানে জাটিঙ্গা লামপুরের ধস-বিধ্বস্ত এলাকা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আবহওয়া ঠিকঠাক থাকলে ভারি বৃষ্টি না হলে কিছু দিনের মধ্যে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *