আগরতলা, ৯ মে: খোয়াই শহরের বিভিন্ন প্রধান সড়কের পাশে অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা অটো রিক্সা এবং ই-রিক্সা স্ট্যান্ড এর প্রভাবে নাজেহাল পথচারী সাধারণ মানুষ। ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় শহরের মূল সড়কের পাশেই বিভিন্ন যানবাহনে ক্রমশ উৎপন্ন হচ্ছে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি।
অভিযোগ ক্রেতা সহ সাধারণ জনগণের পার্কিং করা বাহন নিয়ন্ত্রণেও কোনও ধরনের প্রশাসনিক তদারকির অভাবে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে মূল শহরের বিভিন্ন এলাকাতে। কয়েক মাস আগেই প্রশাসন তরফে ফলাও করে ঘোষণা করা নো পার্কিং জোন যেনো আজ পরিণত অঘোষিত পার্কিংয়ের জায়গায়। বিগত দিনে সুভাষ পার্ক এলাকায় ট্রাফিক নো পার্কিংয়ের পক্ষে বিভিন্ন অভিযানে নামলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে যানজটে আবদ্ধ শহরের বাণিজ্যিক এলাকায় গায়েব ট্রাফিক কর্মীরা।
মূলতঃ রাধা-কৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন বিবেকানন্দ তেমুহনী এলাকা এবং ওই স্থান থেকে মহারাজগঞ্জ বাজারগামী সড়ক আবদ্ধ হয়ে সকাল বিকেল সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটে। তা মোকাবিলায় ট্রাফিক কর্মী সহ আধিকারিকদের অনুপস্থিতির অভিযোগ তোলেন এবং একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় দোকানিরা। তাঁরা জানান, নৃপেন চক্রবর্তী এভেনিও এবং তার পারিপার্শ্বিক এলাকাতে যানজট ঘিরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও কোনও ধরণের হেলদোল নেই ট্রাফিক দপ্তরের।
এদিকে নৃপেন চক্রবর্তী চৌমুহনী এলাকায় পারিপার্শিক এলাকাতে সকাল হতে না হতেই ট্রাফিক তদারকির অভাবে এই খালি জায়গাতে অবৈধ পার্কিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জনমনে।
অন্যদিকে যানজটের একই চিত্র বিদ্যমান শহরের এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও। বিগত কয়েকমাস আগে খোয়াইয়ের প্রধান বাজার এলাকা অর্থাৎ নৃপেন চক্রবর্তী চৌমুহনী থেকে রাধা-কৃষ্ণ মন্দির সংলগ্ন বিবেকানন্দ তেমুহনীতে নিষিদ্ধ কর হয় ই-রিকশা এবং অটো চলাচল। আজব বিষয় খোয়াই মিউনিসিপাল কাউন্সিল এর তরফে বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা জারি করা সত্ত্বেও কোন অজ্ঞাত কারণে এই নিয়ম বর্তমানে লুপ্ত । ভুক্তভোগী স্থানীয় জনগণের ধারণা সংগ্রামী ই রিক্সা চালকদের রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে উধাও হয়েছে প্রশাসনের তরফে জারি সেই নিয়ম নির্দেশিকা। মাঝেমধ্যে ট্রাফিক কর্মীরা যান চলাচল সুগম করতে কর্তব্য পরায়ণ সক্রিয়তা দেখালেও ট্রাফিক জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ নাগরিকদের মাঠে নামার ঘটনা ঘটছে প্রায়শই। শুধু তাই নয় বেসরকারি কারীর পাশাপাশি মাঝে মাঝেই নো পার্কিং জোনে পার্কিংয়ে দেখা যায় বিভিন্ন সরকারি গাড়িও।
শুধু হাত মেরেই ক্ষান্ত থাকতে হয় ট্রাফিক কর্মী বা অসহায় টি এস আর বাহিনীর। তবে শহরবাসীকে এই যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে প্রশাসনের তরফে পার্কিং এবং নৌ পার্কিং জন সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত করে মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক কর্মী মোতায়েন সহ দরকার বিভিন্ন সময়ে ট্রাফিক অভিযান। তবেই যানজট মুক্ত শহর গড়ে তোলা সম্ভব বলে অভিমত বিভিন্ন পেশার শহরবাসীদের।