নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৩ এপ্রিল:
কংগ্রেস সিপিএমের ভোট চাওয়ার নৈতিক কোনো অধিকার নেই। তারা দেশটাকে চীন এবং পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিতে চায়। সিপিএম পশ্চিমবাংলায় ৩৪ বছর শাসন করেছে। আর এখন পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রার্থীদের জামানত জব্দ হচ্ছে। বিজেপি দল মানুষের জন্য কাজ করে। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এটা জানান দেয় এই দলটাকে কম করেও ৩০ বছরের পূর্বে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। বিজেপিকে পরাস্ত করার মতো কোনো রাজনৈতিক দল এখনো তৈরি হয়নি। রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে মোদিজীর নেতৃত্বেই জনজাতিদের উন্নয়ন সম্ভব। মঙ্গলবার পূর্ব ত্রিপুরা সংরক্ষিত আসনে দলীয় প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে সরব প্রচারের অন্তিম লগ্নে খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত মহা মিছিলে অংশগ্রহণ করে এমনটাই বললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।
এদিন বিকাল ৪ টা নাগাদ খোয়াই মন্ডল কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে খোয়াই শহরের সুভাষ পার্ক,জি এ বি চৌমুহনী, বনকর,কবিগুরু পার্ক, পুরান বাজার, লাল ছড়া হয়ে মন্ডল কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে মন্ডল কার্যালয়ের সামনে দলীয় কার্যকর্তাদের সম্বোধন করে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন যারা বিজেপি দলকে ভোট দেবেন না তারা সমাজের শত্রু উন্নয়নের শত্রু। সিপিএম দল হচ্ছে পচা কলা, কর্দমাক্ত, সন্ত্রাসির দল। বর্তমানে রাজ্যে তারা তিন নম্বরে নেমে এসেছে। অর্থাৎ ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত। রাজ্যে সিপিএম ও কংগ্রেস কোনদিনই ক্ষমতায় ফিরবে না। এদিন বাম কংগ্রেসকে এভাবেই আক্রমণ করেন মন্ত্রী রতন নাথ।
রাজ্যের মানুষ দুর্নীতি, সজন পোষণ এবং স্বৈরাচারী মনোভাব জেনে গেছে। খোয়াই এর দীপঙ্কর নাথ শর্মা, ক্ষিতেন্দ্র গোপ, দিলীপনাথ শর্মা,, যাদের হাতে কংগ্রেস নেতারা খুন হয়েছেন এই দলের সাথে কি করে কংগ্রেস মিতালী গড়ে তুলেছে। খোয়াইবাসী এদের যোগ্য জবাব দিন। ২৬ এপ্রিল বিজেপি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মাকে ৯০% ভোট দানের মাধ্যমে জয়যুক্ত করে ইতিহাস তৈরি করুন সেই আহ্বান জানান তিনি।
এই দিনের মহামিছিলে মন্ত্রী ছাড়াও এর অগ্রভাগে উপস্থিত ছিলেন মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দাস, পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশীষ নাথ শর্মা, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী অপর্ণা সিংহ রায়, বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক, পৌর পরিষদের কাউন্সিলর শঙ্কূপাল এবং যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি সত্যজিৎ পাল সহ অন্যান্যরা।