শিলচর (অসম), ৩০ মাৰ্চ (হি.স.) : কাছাড় জেলা সদর শিলচরের মেহেরপুর কাবিউড়া এলাকায় স্বগৃহে নিজের স্ত্রীর গলা কেটে খুন করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টার-স্বামী। ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন নিম্ন অসমের ধুবড়ি জেলার বাসিন্দা স্বামী আফজালুর রহমান।
আজ শনিবার সকালে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, লোমহর্ষক এই ঘটনা শুক্রবার রাতে সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ধুবড়ির বাসিন্দা আফজালুর রহমান দুই সন্তান এবং স্ত্রী কোহিনূর বেগমকে নিয়ে কর্মসূত্রে মেহেরপুরের কাবিউড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। আফজালুর শিলচর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একজন ইনস্ট্রাক্টার।
সূত্রটি জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে অজ্ঞাত কারণে স্বামী-স্ত্ৰীর মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া হতো। গতকালও সারাদিন দফায় দফায় ঝগড়া হয়। কিন্তু রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে তিনি তাঁর ভাড়া বাড়ি ফেরে আবার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এক সময় মেজাজ হারিয়ে পুরনো একটি শাড়ি দিয়ে স্ত্রী কোহিনূরকে মোড়ে উপর্যূপরি ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকেন। এলোপাতাড়ি দায়ের কোপ পড়ে তাঁর গলায়ও। গোটা ঘর স্ত্রীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। রক্তের ওপর পড়ে থাকে সংজ্ঞাহীন কোহিনূরের দেহ।
স্বামী যখন প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছিলেন, স্ত্রী কোহিনূর তখন আর্ত চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়িতে জমায়েত হতে থাকলে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান ঘাতক আফজালুর রহমান। প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত কোহিনূরকে উদ্ধার করে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে তাঁর আপৎকালীন চিকিৎসা করে আইসিইউতে নিয়ে ভরতি করা হয়। কিন্তু ডাক্তারদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে কিছুক্ষণ পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কোহিনূর বেগম। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং দায়ের কোপে গলার শ্বাসনালী কেটে যাওয়ায় তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘুংঘুর ফাঁড়ি থেকে পুলিশের দল গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। নিহত কোহিনূর বেগমের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে পত্নী-হন্তা আফজালুর রহমানকে পাকড়াও করতে পুলিশ শুরু করেছে অভিযান।

