নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৮ মার্চ: ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে মানুষের মধ্যে যে পরিষেবা দেওয়ার কথা তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় অসহযোগিতার কথা উঠে এসেছে। অসন্তোষের পরিমাণ এমনভাবেই বাড়তে শুরু করেছে স্তুপ থেকে এখন তা পাহাড় সমান অভিযোগে পরিণত হয়েছে।
সোমবার মানুষের মধ্যে বিশাল অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে সিটি স্ক্যানকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান নিয়ন্ত্রণ করছে সঞ্জীবনী নামক একটি বেসরকারি সংস্থা। এই সংস্থায় রিপোর্ট আনতে গেলে তিন থেকে চার দিন সময় লেগে যাচ্ছে। আজ যারা রিপোর্ট পেয়েছে তারা ১৫ তারিখ সিটিস্ক্যান করিয়েছিল। রিপোর্টের সাথে কখনো ডিস্ক দেওয়া হয় তো কখনো দেওয়া হয় না।
সকাল ৮ টায় অনেকে রিপোর্টের জন্য কাগজ জমা করলেও দুপুর দুইটা অতিক্রান্ত এখনো তাদের রিপোর্টের কোন বালাই নেই। কোন কিছু বলতে গেলে কর্তব্যরত কর্মীরা যেন সাধারণ মানুষকে মারার জন্য তেড়ে আসে এমন অবস্থা। এমনকি ইমারজেন্সি রোগে যাদের সিটিস্ক্যান রিপোর্টের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা এবং চিকিৎসকরা বসে থাকেন সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেখে চিকিৎসা করার জন্য তাদের পর্যন্ত সঠিক সময়ে জরুরীকালীন ভিত্তিতে সিটিস্ক্যান রিপোর্ট দেওয়া হয় না।
একদিকে ইন্টারনাল হেমারেজ হয়ে মানুষের জীবন মৃত্যু সংগ্রামে চলছে, অন্যদিকে কর্তব্যরত গুটিকয়েক কর্মচারীর অবহেলার কারণে সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বঞ্চিত অসন্তুষ্ট মানুষ সোমবার বঞ্চনার কাহিনী সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তবুও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মরত কর্মচারীদের কোন ধরনের ভ্রুক্ষেপ নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহা তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে গেলেও এই ধরনের কিছু সংখ্যক কর্মচারীর কারণে সম্পূর্ণ প্রয়াস শূন্যে পর্যবেষিত হচ্ছে। নিরুপায় ধর্মনগরের সাধারণ জনগণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড মানিক সাহা এবং অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।