মিজোরামে লালদুহোমা সরকারের প্রথম বাজেট, বরাদ্দ ১৩,১৭৬.৮৫ কোটি টাকা

– ‘কালফুং থার – মিপুই সাওরকার’ শীর্ষক নতুন শাসন ব্যবস্থার পরিকল্পনা

আইজল২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : নবম মিজোরামে বিধানসভায় আজ মঙ্গলবার লালদুহোমা নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম বাজেট পেশ হয়েছে। অর্থ দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা তাঁর প্রথম বাজেটে বরাদ্দ রেখেছেন ১৩,১৭৬.৮৫ কোটি টাকা।

রাজ্যে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম) সরকার ক্ষমতায় বসার পর তাদের তৈরিকৃত ২০২৪-২৫ অৰ্থবৰ্ষের বাজেট (ব্যয়বরাদ্দ ছাড়া) আজ পেশ করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য রাজ্য বাজেটের প্রাক্কলনের মোট মূল্য ১৩,১৭৬.৮৫ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য একটি সম্পূরক চাহিদা (ভোটেড এক্সপেনডিচার) ৩,২৮৭.৯৩ কোটি টাকা।

বাজেট পেশ করে বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা বলেন, ২০২৪-২৫ একত্রীকরণের বছর হবে বলে আশা করছে তাঁর সরকার। নতুন সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে রাজস্ব ঘাটতি কমানো এবং যত সম্ভব উচ্চ ঋণ কমানো। তিনি আরও বলেন, সরকার এই অর্থবৰ্ষ রাজ্য তহবিল ব্যবহার করে বড় আকারের প্রকল্প গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে যেগুলির জন্য উল্লেখযোগ্য প্রতিপক্ষের তহবিল প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মিজোরামের নতুন সরকার আসন্ন অর্থবর্ষর জন্য বাজেট পরিকল্পনা করেছে। আর্থিক স্থিতিশীলতা একত্রিত করা এবং আর্থ-সামাজিক সংস্কার বাস্তবায়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এই বাজেট তৈরি করা হয়েছে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাজেটে যে সব মূল উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে সম্পৰ্কে জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, এগুলির মধ্যে ‘কালফুং থার – মিপুই সাওরকার’ শীর্ষক একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং মুখ্যমন্ত্রীর ১০০ দিনের কর্মসূচির বাস্তবায়ন। এছাড়া রাজস্ব ঘাটতি কমাতে, ঋণ পুঞ্জিভূতকরণ রোধ এবং পরিবেশ সুরক্ষা ও সামাজিক সমতা সহ ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা করা হয়েছে বাজেটে।

বাজেট ভাষণে তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য হ্যান্ড হোল্ডিং নীতি এবং লাভজনক মূল্যে মূল অর্থকরী ফসল সংগ্রহের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরকে ক্ষমতায়ন করা। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা শক্তিশালী, কল্যাণমূলক পরিষেবার প্রসার এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহের উন্নতির জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপরন্তু, বাজেটে শিক্ষা সংস্কার, পরিকাঠামো উন্নয়ন, এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতা, মূলধন বৃদ্ধি এবং জনসম্পদের দক্ষতা ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।

মিজোরামের অর্থনীতি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য ১১.০৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশিত গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রডাক্ট (ডিএসডিপি) হার। তৃতীয় খাত অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে।

এছাড়া কৃষির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সরকার বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি উৎপাদনকারীদের ক্ষমতায়ন করা, লাভজনক মূল্যে মূল অর্থকরী ফসল সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *