উত্তর দিনাজপুর, ১০ ফেব্রুয়ারি, (হি.স.): বাইরে থেকে তালাবন্ধ। অথচ সেই বাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার গৃহকর্তা-সহ দুজনের দেহ। রায়গঞ্জের সৎসঙ্গ জুনিয়র হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকার ঘটনায় শুরু হয়েছে জোর শোরগোল।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে দুজনকে। নিহত গৃহকর্তার পরিচিতকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। চলছে জোর জিজ্ঞাসাবাদ।
উকিলপাড়া সৎসঙ্গ জুনিয়র হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা তপন দে। বছর চুয়ান্নর ওই ব্যক্তি পূর্ত দফতরের কর্মী। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়। সেই শূন্যপদে চাকরি পেয়েছিলেন তপনবাবু। তাঁর মেয়ে তানিয়া দে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
শনিবার পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল সে। পরীক্ষাকেন্দ্রেই জানতে পারে দুঃসংবাদ। তড়িঘড়ি বাড়ি পৌঁছে তানিয়া তার বাবা এবং মিন্টু সরকার নামে আরও একজনের দেহ পড়ে থাকতে দেখে। ততক্ষণে অবশ্য রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
দেহ উদ্ধারের আগে বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করা হয়েছে ওই দুজনকে। একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কল লিস্টে থাকা শেষ নম্বরে পুলিশ রতন সরকার নামে দেবীনগরের এক বাসিন্দার খোঁজ পায়। তাকে প্রথমে আটক করে পুলিশ। পরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, নিহতদের সঙ্গে এদিন সকাল ১০টা নাগাদ এলাকাতেই দেখা গিয়েছিল রতনকে। তার পরই দেহ উদ্ধার।
পুলিশের অনুমান, রতনই হয়তো খুন করে থাকতে পারে তাঁদের। তাই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে খুন হতে পারেন তপন, তা এখনও জানা যায়নি। নিহত তপন দের বউদি মিলি দে জানান, ২০ বছর আগে রানাঘাটের বাসিন্দা সুলেখা দে-র সঙ্গে বিয়ে হয় তপনবাবুর। আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও বছর তিন পরই আলাদা থাকতে শুরু করেন দুজনে। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী রানাঘাটে রয়েছেন। তাঁকেও মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।

