আগরতলা, ১ ফেব্রুয়ারি : দলীয় অবস্থান আগলে রেখে মনে হচ্ছে স্থির থাকতে পারছেন না সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তাই হয়তো, ইন্ডি জোটের পক্ষে সওয়াল করে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে আবারও কংগ্রেসকেই বিধঁলেন তিনি।
তাঁর মতে, জরুরি অবস্থার সময়ে জাতীয় কংগ্রেস ভেঙেই জনতা পার্টির আবির্ভাব হয়েছিল। ওই দল আরএসএসের মদতপুষ্ট ছিল। তাঁর দাবি, তখনকার সময়ে কংগ্রেসই মোড়ক বদলে বিজেপি সরকারের আদলে কেন্দ্রের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এখন দেশ থেকে বিজেপি সরকারকে সড়াতে মাঠে নেমেছে সেই কংগ্রেস। মানিক সরকারের এই দোলাচলে ইন্ডি জোটের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আজ মহামতি লেনিন-এর মৃত্যু শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আগরতলা টাউনহলে আয়োজিত হল সভায় পলিটব্যুরো সদস্য তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, বর্তমানে দেশে আরএসএস মদতপুষ্ট বিজেপি পরিচালিত সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। তাছাড়া, বিজেপি সরকারের চিন্তাভাবনার মধ্যে আচরণ রয়েছে।
তাঁর কথায়, লেনিনের শিক্ষা আজ প্রাসঙ্গিক। লেনিনের শিক্ষাকে বর্তমানে কাজে লাগাতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে বিজেপিকে হারাতে হবে। আরএসএস-বিজেপিকে জনগণ থেকে মতাদর্শগত দিক থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ভোটের লড়াইয়ে তাদের পরাস্ত করতে হবে।
এদিন তিনি ইন্ডি জোটের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের দল ত্যাগে জোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, ইন্ডি জোটে ২৭টি রাজনৈতিক দল রয়েছে।তাঁর মতে, জরুরি অবস্থার সময়ে জাতীয় কংগ্রেস ভেঙেই জনতা পার্টির আবির্ভাব হয়েছিল। ওই দল আরএসএসের মদতপুষ্ট ছিল। তাঁর দাবি, তখনকার সময়ে কংগ্রেসই মোড়ক বদলে বিজেপি সরকারের আদলে কেন্দ্রের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এখন দেশ থেকে বিজেপি সরকারকে সড়াতে মাঠে নেমেছে সেই কংগ্রেস।