ধর্মনগরে বীর বিক্রম ইন্সটিটিউসনের মাঠে ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠিত

আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি: উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে বীর বিক্রম ইন্সটিটিউসনের মাঠে ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজ্য তথা দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ধর্মনগরের বীর বিক্রম ইনস্টিটিউশনের মাঠে।

এখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলাশাসক ও সমাহত্যা দেবপ্রিয় বর্ধন, জেলা পুলিশ সুপার ভানু পদ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস ধর্মনগর পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার সহ প্রশাসনিক বিভাগের সব কর্মকর্তারা।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিশ্ববন্ধু সেন বলেন এবার প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হচ্ছে অন্য মহিমায়। দেশে অভাব থাকলেও দারিদ্রতা নেই। নেই ক্ষুদা, অন্য বস্ত্র বাসস্থানের জন্য হাহাকার নেই। দুই শত্রু পাকিস্তান এবং চীন ভারতকে বারে বারে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হচ্ছে। এই রাজ্যে ডঃ মানিক সাহার উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রয়েছে। 

খেলা ধর্মনগরের যে ব্যাপক সাড়া ধর্মনগরবাসীর মনে কড়া নেড়ে গেছে তার উল্লেখ করেন। শিল্প সংস্কৃতিতে ধর্মনগর এগিয়ে চলেছে। এবার দরকার হাতে হাত মিলিয়ে সবাই উন্নয়নে সামিল হওয়া। আগামী বছর খেলাধর্মনগর  আরো একটি নতুন ইভেন্ট সংযোজন হচ্ছে তা হচ্ছে বয়স্কদের মধ্যে ৫০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। 

রেল যোগাযোগ রাস্তাঘাট সবই উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে পর্যবেশিত হচ্ছে। 

তিনি দেশের মনীষীদের জীবন কাহিনী অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দেন। বিদেশ থেকে ধার করা কোন মনীষীদের জীবন কাহিনী অবলম্বনের কোন দরকার নেই। আমাদের দেশে মহান মহান মনীষীরা রয়েছেন। আমেরিকার শিকাগো শহরে নরেন্দ্রনাথ দত্ত হিন্দু ধর্ম এবং ভারত বর্ষকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন আরেক নরেন্দ্র ভাই মোদি বিশ্বের দরবারে ভারতের অর্থনীতি কূটনীতি গবেষণা নীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য সর্বক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখিয়ে ভারতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছে। ২০২৪ এর ২২ জানুয়ারি ভারতবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন বলে উল্লেখ করেন। ৫০০ বছরের কাঙ্খিত রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা সমগ্র ভারতবাসীর জন্য একটা বিশাল প্রাপ্তি বলে উল্লেখ করেন। বীর বিক্রম ইনস্টিটিউশন এর মাঠে যে প্যারেড অনুষ্ঠিত হয় তাতে আর্মড বিভাগে প্রথম ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল দ্বিতীয় ডিস্ট্রিক্ট আর্মড ফোর্স, তৃতীয় ওমেন প্লাটুন এবং সান্তনা পুরস্কার এসপিও দের দেওয়া হয়। নন আর্মড বিভাগে এনসিসি ছেলেদের প্রথম ,এনসিসি মেয়েদের দ্বিতীয় , বয়েজ স্কাউট কে তৃতীয় এবং গার্লস স্কাউটকে সান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। তাছাড়া ধর্মনগর থেকে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখিয়েছে তাদের মধ্যে রাজবাড়ীর তাপসনাথের ছেলে তন্ময় নাথ আইআইটি তে সুযোগ পেয়েছে, পান্না ঘোষের ছেলে পলিটেকনিকে মেকানিক্যাল বিভাগে গোল্ড মেডেল পেয়েছে এমন বেশ কয়েকজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শী কে সম্মানিত করা হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে নৃত্যের মাধ্যমে তাদের শৈল্পিক নিদর্শন মাঠে তুলে ধরা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *