নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার, ২৫ জানুয়ারি: মুঘলরা বুঝতে পেরেছিলো, ভারতবাসীদের দুর্বল করতে হলে মন্দির ও আধ্যাত্মিকতায় আঘাত করতে হবে। তাই রাম মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আঘাত হেনেছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও আইনি পথে, প্রায় ৫০০ বছরের অধিক প্রতীক্ষা শেষে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। আজ জাতীয় ভোটার দিবসে শান্তির বাজার মন্ডলে যুব মোর্চা আয়োজিত নব মতদাতা সম্মেলনে প্রথমবারের মত মতাধিকার প্রয়োগ করতে চলা গনদেবতাদের সম্বোধন করতে গিয়ে এই কথা বলেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি বলেন, একদিকে মুঘলরা ভারতের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বকে গুড়িয়ে দিয়েছিলো। অন্যদিকে কমিউনিস্টরা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে ত্রিপুরার ভাগ্যকে উপেক্ষিত করে রেখেছে। রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে বহুমুখী উন্নয়ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। যুব সমাজকে অতীত সম্পর্কে জানার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের যুব সমাজ, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী আগামীর নির্মাতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্গদর্শনে যুব সহ অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সমস্ত অংশের মানুষ এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ খুঁজে পেয়েছে। সমগ্র দেশব্যাপী প্রবাহমান এই সর্বাঙ্গীন বিকাশ যজ্ঞে আরও গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে যুব শক্তির সচেতন অংশগ্রহণ ও আত্মনিবেশ অত্যন্ত আবশ্যক। জাতীয় ভোটার দিবসে শান্তির বাজার মন্ডলে যুব মোর্চার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতি জনজাতি অংশের নতুন ভোটাররা অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের সাথে মত বিনিময়ও করেন শ্রী দেব l
বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে একের পর এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধী মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেও মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ আনতে পারেননি l কিন্তু নরেন্দ্র মোদী তা করে দেখিয়েছেনl তিনি রাম মন্দিরের জন্য যেমন বলিষ্ঠ, দেশের অগ্রগতিতেও তাই l কমিউনিস্টরা শুধুই মানুষকে বিভ্রান্ত করে উন্নয়নের মূল ধারা থেকে সরিয়ে রেখেছে l রাজনৈতিক স্বার্থই ছিল তাঁদের মুখ্য l নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই শুধু নয়, ইংরেজ শাসনকালের ভারতবাসীদের শোষণের আইনগুলির একে একে সংশোধনী এনে রাষ্ট্র দ্রোহীদের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নতুন মতদানকারী মাধ্যমে যারা আগামী দিনে প্রথমবারের মত গণতান্ত্রিক মতাধিকার প্রয়োগ করতে চলেছেন, তাঁদের এই সব বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।