শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ২৯ ডিসেম্বর : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান। মানুষের জীবনের ভিত্তি এখান থেকেই শুরু হয়। তাই পড়াশুনার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করতে হবে। তবেই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা পূর্ণতা পাবে। আজ প্রাচ্য ভারতী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা ।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার চায় রাজ্যের সমস্ত শিক্ষার্থীরা গুণগত শিক্ষার মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রতিভাকে বিকশিত করুক। রাজ্যের মেধা সম্পদ রাজ্যেই কাজে লাগুক। রাজ্যে যে প্রাকৃতিক, বনজ এবং উদ্যানজাত সম্পদ রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই সরকারের মূল লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ের ৭৫ বর্ষ পূর্তি উদ্যাপন নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় ঘটনা। নবীন-প্রবীণ ছাত্রছাত্রী ও গুণীজনদের সমাবেশে এই উদ্যাপন আনন্দমুখর হয়ে উঠুক। রাজ্যের প্রাচীনতম এই বিদ্যালয়টি পুঁথিগত শিক্ষাদানের পাশাপাশি ছাত্রীদের মূল্যবোধ, সামাজিকতা, সংস্কৃতি চর্চা এবং দেশপ্রেম জাগ্রত করতে সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশাব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার ছেলেমেদের মধ্যে গুনগত শিক্ষা প্রদানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা কার্যকর করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, এন সি ই আর টি-পাঠ্যক্রম চালু,অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, সুপার ৩০ প্রকল্প চালু, বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু, বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প চালু,নিপুন প্রকল্প চালু,মিশন মুকুল চালু ইত্যাদি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনা নামে একটি নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বাদশমান পরীক্ষায় প্রথম ১০০ জন স্থানাধিকারী মেয়েদের বিনামূল্যে স্কুটি প্রদান করা হবে। এরফলে মেয়েরা উচ্চশিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার পিএমশ্রী এবং বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পে ৪০০টি সরকারি বিদ্যালয়কে আধুনিকীকরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যের শিক্ষার পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার আগামী পাঁচ বছরে দুই হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে দেশ সেবায় উৎসাহিত করার জন্য রাজ্য সরকার প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ত্রিপুরা অগ্নিবীর কর্মসূচি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।