(আপডেট) ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বিষ্ণু দেও সাই, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হলেন অরুণ ও বিজয়

রায়পুর, ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন বিজেপি নেতা বিষ্ণু দেও সাই। বুধবার বিকেলে রায়পুরের সায়েন্স কলেজ গ্রাউন্ডে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিষ্ণু দেও সাই। ছত্তিশগড়ের রাজ্যপাল বিশ্বভূষণ হরিচন্দ্রন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এছাড়াও ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা অরুণ সাও এবং বিজয় শর্মা। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা-সহ বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও। শপথগ্রহণের পর ছত্তিশগড়ের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে সবাই অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছেন।

গত রবিবার আদিবাসী নেতা বিষ্ণু দেও সাইকে বিজেপি নিজেদের সদ্য বিজিত রাজ্য ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেছে। গত বছরই ছত্তিশগড়ের বিজেপির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিষ্ণুকে। ২০১৪ সালে মোদী সরকার প্রথম বার দেশে ক্ষমতায় আসার পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছিল এই আদিবাসী নেতাকে। একটি নয়, তিন তিনটি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল বিষ্ণুকে। এর মধ্যে কেবল ইস্পাত প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিজের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন বিষ্ণু। বাকি দু’টি মন্ত্রক তাঁর হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় যথাক্রমে দু’বছর এবং ছ’মাসের মাথায়। কিন্তু মন্ত্রিত্ব যাওয়া নিয়েও কোনও প্রতিবাদ করেননি তিনি।

১৯৮৯ সালে রাজনৈতিক সফর শুরু বিষ্ণুর। সে বছরই প্রথম গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে লড়েন তিনি। বিরোধীশূন্য হিসাবে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন। তখনও অবশ্য মধ্যপ্রদেশ ভেঙে ছত্তিশগড় হয়নি। বিজেপির বহু বড় নেতাকে সেই সময় পাশে পেয়েছিলেন বিষ্ণু। নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক, জনসমর্থন এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা— এই সব ক’টি বিষয়ই বিষ্ণুর দ্রুত উত্তরণের মূল কারণ। অধুনা ছত্তিশগড়ের জশপুর জেলায় বাগিয়া গ্রামে ১৯৬৪ সালে জন্ম বিষ্ণুর। তাঁর বয়স এখন ৫৯। তাঁর পরিবার অনেক আগে তেল পেশাই বা তেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। যদিও বিষ্ণুর পরিবারের বর্তমান পেশা কৃষি। তবে তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাসও রয়েছে। পরিবারের তিন সদস্য ১৯৪০ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে হয় বিধানসভা বা লোকসভা ভোটে জিতেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *