নিজস্ব প্রতিনিধি, ধলাই, ৯ ডিসেম্বর : ফের ধলাই নদীর উপর পাকা সেতু নির্মাণ কাজে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের এলাকা বাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ধলাই নদীর উপর নির্মিয়মান পাকা সেতুর উত্তর দিকের আর সি সি গার্ডারটি গত ৮ই ডিসেম্বরে রাতে সম্পূর্ণভাবে উত্তর দিকে হেলে পড়েছে এবং নতুন করে আরো ফাটল তৈরী হয়েছে। আর তার জন্য এই হেলে পড়া গার্ডারটি পাশের গার্ডারের সঙ্গে রড দিয়ে টানা দিয়ে রাখা হয়েছে। এই অভিযোগ স্হানীয় জনগণের মাধ্যমে পাওয়ার পর আজ সকালে প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাস, স্হানীয় হাসান চৌধুরী, পলাস চৌধুরী, গৌরাঙ্গ দেবনাথ, নয়দা নম:শুদ্র সহ অন্যান্যরা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন।
প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই সেতু সবচেয়ে বড় সেতু হিসাবে যে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ছিল সেই অনুযায়ী হচ্ছে না। এই সেতুর নির্মান কাজ নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও ত্রুটিপূর্ণ কাজের অভিযোগ একাধিকবার আসার পর গত ২রা ডিসেম্বর এনএইচআইডিসিএলের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর প্রদীপ কুমার, ধলাই জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক বিশ্বজিৎ পাল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা অভিযোগগুলির সত্যতা প্রত্যক্ষ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দক্ষিন প্রান্তের গার্ডারটি লাল রং দিয়ে রিজেক্টেড লিখে দিয়ে যান। কিন্তু এরপর ও কাজ ভালো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন এন এইচ আই ডি সি এল এবং প্রশাসনের নজরদারী কোথায়? এই জাতীয় সড়ক নির্মান করার জন্য ২০১৬ সালে যে ডি পি আর তৈরী করা হয়েছিল সে অনুযায়ী অনেক জায়গায় আকা বাঁকা মোড় গুলি সোজা করা এবং কাজের মান সঠিক হচ্ছে না।
নির্মান সংস্হা বেআইনি ভাবে প্রচুর লাভ করে চলে যাবে আর তার নেতিবাচক ফল ভোগ করবে জনগণ এমনই ইভিযোগ করেন এদিন প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি আরো বলেন এই এমনকি সেতু ভেঙ্গে অনেক মানুষের মৃত্যু ও হতে পারে। তাই সেতুর সমগ্র কাজটি বিশেষঞ্জ টিম দ্বারা তদন্ত করার দাবী জানান ।
উল্লেখ্য গত১৭ই নভেম্বর অনেক এই সেতুতর অনেক স্হানে ফাটল দেখা দেওয়ার পর প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাস সহ এলাকাবাসী পরিদর্শন করার পর ফাটল স্হানগুলি সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দিয়ে সাদা রং লাগিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।গত ১লা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মেশিনে কাজ করার সময় বিকট শব্দ শুনে এলাকাবাসী দেখতে পায় নির্মানকাজে বড় ফাটল । এই খবর পাওয়ার পর প্রাক্তন বিধায়ক অঞ্জন দাসসহ,বিভিন্ন নেতৃত্ব ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন এবং স্হানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চান ও সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও এন এইচ আই ডি সি এলের নজরে নেন। একই সঙ্গে এই নির্মিয়মান সেতুর নির্মান সংস্হার উদাসীনতায় গত ১৭ ই নভেম্বর নদীর পশ্চিম তীরের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ৮ টি গরীব পরিবার গুলিকে আর্থিক সাহায্য ও বাড়ীগুলির নিরাপত্তামূলক ব্যবস্হার জন্য কোন না নেওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।