রক্তাক্ত অবস্থায় দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ

বিলোনিয়া, ২ ডিসেম্বর: রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অভিজিৎ দে ও আশীষ মজুমদার নামে দুই যুবকের মৃত্যুর রহস্যের জাল অবশেষে ছেদ করতে পারলো পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করার পর পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসার পর একজন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিলোনিয়া থানাতে নিয়ে আসে। নাম ঝুটন চৌধুরী, বাড়ি মনুরমুখ তবলা চৌমুহনী এলাকায়। 

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, এই দুই যুবক দূর্ঘটনার শিকার না, হত্যার চক্রান্তের শিকার। হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে বোলোরো গাড়ি দিয়ে বাইকের পেছনে সজোরে ধাক্কা এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে রড দিয়ে মাথায় কয়েকটি আঘাত ।যা দুই যুবকের মাথায় এই আঘাতের চিহ্ন গতকাল চিকিৎসক সহ হাসপাতালে উপস্থিত লোকজনেরা দেখতে পায়। পূর্বের শত্রুতার জেরে এই হত্যা বলে জানা গেছে । পুলিশ ঘাতক বুলেরু গাড়ি সহ গাড়ি চালক ঝুটনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।পুলিশের জেরার মুখে ঝুটন । জানা যায় এই ঝুটনের মুখ থেকে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মুখ খুলছে না।  

প্রসঙ্গত, গতকাল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিলোনিয়া থানাধীন গেরেজ টিলা এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অভিজিৎ দে ও আশীষ মজুমদার নামে দুই যুবক ।   রক্তাক্ত অবস্থায় এই দুই যুবককে চিকিৎসার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে আসে বিলোনিয়া হাসপাতালে । আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুই যুবককে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করে দেয় আগরতলা জিবি হাসপাতালে। আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় এই দুই যুবকের । দূর্ঘটনার শিকার নাকি হত্যা এই নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হলেও শনিবার দুপুরে আবরন উন্মোচন হলো পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।