জনসচেতনতাই হচ্ছে এইডস রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায় : মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ১ নভেম্বর: জনসচেতনতাই হচ্ছে এইডস রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। আজ উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গণে বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহা । 

ত্রিপুরা রাজ্য এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির উদ্যোগে ও ত্রিপুরা রাজ্য এনএসএস সেলের সহযোগিতায় আয়োজিত এই র‍্যালির সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন তিনি বলেন, এইডস প্রতিরোধে প্রচারমূলক অভিযান নিয়মিত সংগঠিত করতে হবে। প্রতিবছরই ১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী বিশ্ব এইডস দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্ব এইডস দিবসের এবারের ভাবনা হল ‘লেট কমিউনিটিস লিড’। অর্থাৎ এইডস রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নেতৃত্ব দেওয়া। 

এদিন তিনি আরও বলেন, এইডস রোগ মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। ফলে যারা এই রোগে আক্রান্ত হন তাদের পরিণতি ভয়াবহ হয়। তাই এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে সচেতন থাকতে হবে।মুখ্যমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত রাজ্যে মোট এইচআইভি / এইডস আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ৫,২৬৯ জন। এরমধ্যে মহিলার সংখ্যা ১,০২২ জন, পুরুষের সংখ্যা ৪২৪৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। এরমধ্যে ৫৭৫ জন ছাত্রছাত্রীও রয়েছে।

তাঁর কথায়,  এইডস রোগ প্রতিরোধে রাজ্য সরকার এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, কাউন্সেলিং ও টেস্টের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। কাউন্সেলিং এবং টেস্টিংয়ের জন্য রাজ্যের ২৪টি হাসপাতালে ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। তাছাড়াও ১৩৩টি হাসপাতালে ফেসিলিটি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার এবং ৩টি পিপিপি ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং সেন্টার রয়েছে। একটি ভ্রাম্যমান ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং ও টেস্টিং ভ্যানও কাজ করছে। 

মা থেকে শিশুতে এইচআইভি এইডস সংক্রমণ রোধে আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও জিবিপি হাসপাতালে প্রিভেনশান অব পেরেন্ট টু চাইন্ড ট্রান্সমিশন সেন্টার (পিপিটিসিটি) চালু করা হয়েছে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন,  এইডস রোগ সম্পর্কে রাজ্যের জনগণকে সচেতন করতে আজকের এই র‍্যালি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।