গাড়ির ভেতর থেকে চালকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ নভেম্বর : এক গাড়ি চালকের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শ্রীনগর থানা এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গাড়ি চালকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শ্রীনগর থানার অন্তর্গত আনন্দনগর হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টারের প্রায় ২০০ মিটার দূরে রাস্তার পাশে দাঁড় করানো ট্রিপার গাড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। মৃত গাড়ি চালকের নাম অনিল দে(৪৮)।

পরিবারের অভিযোগমূলে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে কানু দেববর্মা নামে এক ব্যক্তিকে। শ্রীনগর থানার অন্তর্গত দক্ষিন আনন্দনগর এলাকার বাসিন্দা অনিল দে। পেশায় তিনি টিপার গাড়ি চালক ছিলেন। প্রায় সময় টিপার গাড়িতে পাথর বোঝাই করে আমবাসা যেতেন।

অনিল দে-এর ছেলে রাজীব দে জানায় তিন দিন পূর্বে তার বাবা পাথর বোঝাই টিপার গাড়ি নিয়ে আমবাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। সাথে সহযোগী হিসাবে নিয়ে গিয়েছিল দক্ষিন আনন্দনগর রামমূর্তি পাড়ার বাসিন্দা কানু দেববর্মাকে। কানু দেববর্মা গাড়ি চালাতে জানে না।

বুধবার রাতে পুলিশ অনিলদের বাড়িতে খবর পাঠায় আনন্দনগর হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টারের অদূরে অনিল দে যান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সাথে সাথে পরিবারের লোকজন ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। ঘটনাস্থলে এসে পরিবারের লোকজন দেখতে পায় টিপার গাড়ির চালকের আসনের পাশের সিটে অনিল দের মৃতদেহ পরে রয়েছে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। অনিল দে-র সাথে থাকা সহযোগী কানু দেববর্মা গাড়িতে নেই।

অনিল দের গলায় একটি গামছা পেঁচানো রয়েছে। রাজীব দে-র অভিযোগ তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এইদিকে মৃত অনিল দে-র পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ মূলে পরবর্তী সময় পুলিশ অনিল দে-র সহযোগী কানু দেববর্মা কে গ্রেপ্তার করেছে।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটন করা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *