ছত্তিশগড়- ২৫৭/৫
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ নভেম্বর।। বড় স্কোর গড়ার দিকে এগুচ্ছে স্বাগতিক ছত্তিশগড়। শনিবার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ত্রিপুরার বোলার জ্বলে উঠতে পারলেই কিছুটা সুবিধে পাবে নতুবা মরশুমের শুরুতেই বেকায়দায় পড়ে যাবে ত্রিপুরা। অনূর্ধ্ব-১৯ কোচ বিহার ট্রফি ক্রিকেটে। ছত্তিশগড়ের সেক্টর -১৮ মাটে আসরের প্রথম দিনে স্বাগতিক দল ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে। ওপেনার বলরাজ সিং দিনের শেষ পর্যন্ত ১১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। সবুজ ঘাষে ভরা উইকেটে পেসাররা জ্বলে উঠতে পারে , তা মাথায় রেখেই সকালে টসে জয়লাভ করে প্থমে ফিল্ডিং নেয় ত্রিপুরা। কিন্তু ত্রিপুরার বোলাররা উইকেট তুলে স্বাগতিক দলকে চাপে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ম্যাচে ফিরতে হলে ত্রিপুরার বোলারদের শনিবার সকালে জ্বলে উঠতেই হবে। পাশাপাশি ব্যাটসম্যানদেরও দায়িত্ব নিতে উইকেটে টিকে থাকতে হবে। সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট পেয়ে শুরু থেকেই উইকেটে টিকে থাকার উপর জোর দেন স্বাগতিক ছত্তিশগড়ের দুই ওপেনার বলরাজ সিং এবং দেবাং কৌশিক। তবে বেশীর দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি দলকে ওপেনিং জুটিতে ত্রিপুরার বিশাল সিনহার বলে দলীয় ২২ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেন দেবাং। এরপর বলরাজ এর সঙ্গে আরিয়ান ভর্মা জুটি ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে নিয়ে থাকেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেটে ওই জুটি ৯৫ বল খেলে ৫৬ রান যোগ করেন। আরিয়ন ৪৪ বল খেলে ৫ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩২ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে ঈশান গাবা-কে নিয়ে বলরাজ যোগ করেন ১০৮ রান ২৪৯ বল খেলে। ঈশান ১৩২ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৭ রান করেন। ব্যর্থ হয়েছেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক পরশ (৩)। এরপর নিখিলকে সঙ্গে নিয়ে নিজের শতরান পূরণ করেন বলরাজ। নিখিলকে বেশীক্ষণ উইকেটে থাকতে দেননি ত্রিপুরার বোলাররা। নিখিল ২৩ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ রান করেন। শেষ পর্যন্ত প্রথম দিনের শেষে ছত্তিশগড় ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে। স্বাগতিক দলের ওপেনার বলরাজ সিং ২৮১ বল খেলে ১৬ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৬ রানে এবং তশবীর ১৪ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। ত্রিপুরার পক্ষে বিশাল সিনহা ২৩ রান দিয়ে ২ টি, অভিক পাল ২৮ রান দিয়ে, সপ্তজিৎ দাস ৪০ রান দিয়ে এবং রাকেশ রুদ্রপাল ৫৮ রান দিয়ে ১ টি উইকেট পেয়েছেন। গ্রুপের অপর খেলায় বিদর্ভ সারাদিনে ৯৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২১৮ রান সংগ্রহ করেছে। অপর ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে মুম্বাই ৭৪ ওভারে নয় উইকেটে ৪০৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করলে জবাবে গুজরাট দিনের খেলা শেষে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৭ রান সংগ্রহ করেছে।