ঢাকা, ১৫ নভেম্বর (হি.স.) : ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। ওই দিন সকাল ৮টা থেকে টানা ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সিইসি, কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি বলেছেন, কমিশন তার আয়ত্বে থাকা সব সামর্থ্য দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে দায়িত্ব পালন করবে।তাঁর কথায়,নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হতে পারে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট সবার অংশগ্রহণ। রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে প্রাথী দিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়। এতে জনমতের শুদ্ধ প্রতিফলন ঘটে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট ২ লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। সিইসি জানিয়েছেন,৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রত্যাহারের শেষদিন ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ওইদিন থেকে প্রচার শুরু হবে। নির্বাচনে ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন ভবনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলকে আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের দিক নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে। জাল ভোট, পেশীশক্তির ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে তা প্রতিহত করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার,কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন ঘিরে সংঘাত সহিংসতা হলে তা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।তিনি সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবেন শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে সমাধান করতে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান অসম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি, সেই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা অনুসারেই তফসিল ঘোষণা করছে নির্বাচন পরিচালনাকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি