জনজাতি গৌরব দিবসে নাম না করে তিপ্রামথাকে বিধলেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ নভেম্বর : “কিছু আঞ্চলিক দল জনজাতিদের মিথ্যা প্রতারনার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। এবার সময় এসেছে তাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার।” –  বুধবার বিজেপি ত্রিপুরা প্রদেশের উদ্যোগে মান্দাই খরাং কমিউনিটি হলে আয়োজিত জনজাতি গৌরব দিবসের অনুষ্ঠানে নাম না করে তিপ্রা মথাকে আক্রমণ করে এই কথা বলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।

এদিন তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই জনজাতিদের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। কারণ জনজাতিদের বিকাশ হলেই ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়ন হবে বলে দাবি করেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি। সেই সংকল্প নিয়ে বিজেপি সরকার পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন,  এখন জনজাতিদের মিথ্যা প্রতারনার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। স্বাধীন ত্রিপুরা, তিপ্রাল্যান্ড, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের শ্লোগান তুলছে। তিনি বলেন, শ্লোগান তুলে কাজ নেই। প্রকৃত অর্থে জনজাতিদের জন্য কাজ করতে হবে।

 তিনি আহ্বান জানান যারা ভূল ব্যাখ্যা ও শ্লোগান তুলে জনজাতিদের অন্ধকারে নিমজ্জিত করার চেষ্টা করছে তাদেরকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার জনজাতিদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান এবং জনজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদানকে সম্মান দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তাঁর প্রতিফলনে বীরসামুন্ডার জন্মদিনটিকে জনজাতি গৌরব দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন।

জনজাতি স্বাধীনতা সংগ্রামীকে দীর্ঘদিন সম্মান দেখানো হয়নি। সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রধানমন্ত্রী জনজাতি সমাজের আর্থিক, সামাজিক উন্নয়নের জন্য এবং অধিকার দেওয়ার জন্য নানান ধরনের কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি তাপস ভট্টাচার্য, সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন জনজাতি গৌরব দিবস উপলক্ষ্যে দুইজন জনজাতি শিল্পীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রদেশ নেতৃত্ব এক জনজাতির বাড়িতে ভোজন করেন। তারপর তারা এলাকার খোঁজখবর নেন স্থানীয় নেতৃত্বদের কাছ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *