কলকাতা, ৮ নভেম্বর (হি. স.) : ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিয়ে এর আগে দুবার সরকারিভাবে আপত্তি জানিয়েছে
কম্যান্ড হাসপাতাল। দু’বারই সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। অথচ, উচ্চ আদালতের নির্দেশ, প্রতিদিন ধৃত মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। শেষ পর্যন্ত বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট ইডিকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলল পরিবর্ত কোথায় এই চিকিৎসা হবে, তা জানাতে।
বুধবার ইডিকে বিচারপতি রাজা বসুরায়চৌধুরীর নির্দেশ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তকারী সংস্থাকে জেনে আসতে হবে যে, বিষয়টি নিয়ে তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী উচ্চ আদালতে সওয়াল করে জানান, কম্যান্ড হাসপাতাল ছাড়া কাছাকাছি কেন্দ্রের অন্য কোনও হাসপাতাল নেই। কল্যাণীর এইমস রয়েছে। সেখানে যেতে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সেনার বক্তব্যকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু আমাদের কাছে উপায় নেই। তাই সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কম্যান্ড হাসপাতালের আইনজীবী অনামিকা পান্ডে হাই কোর্টে বলেন, “শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা নয়। সেখানে চিকিৎসা করাতেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর ফলে হাসপাতালের উপর চাপ বাড়ছে। তা ছাড়া আইনে পরিষ্কার বলা রয়েছে, বাইরের কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, অন্য মামলার অভিযুক্তদের আদালত ওখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিকাঠামোর মধ্যে সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।”
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি রায়চৌধুরীর মন্তব্য, “দিনের শেষে সেনার গুরুত্ব সর্বোচ্চ। তাদের আপত্তি রয়েছে। এই অবস্থায় ইডিকে বিকল্প ভাবনাচিন্তা করতে হবে। কম্যান্ড হাসপাতালের বক্তব্য অযৌক্তিক বলা যায় না। ইডি কী সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী শুনানির দিন জানাতে হবে।”
এ ছাড়াও বিষয়টি নিয়ে কম্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ইডিকে আলোচনায় বসতে বলেন বিচারপতি।