নয়াদিল্লি, ৭ নভেম্বর (হি.স.) : ছত্তিশগড়ে প্রথম দফার ২০টি আসনের ভোটগ্রহণ মঙ্গলবার বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যেও মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় নবনির্মিত ১২৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা উৎসাহের সঙ্গে নির্বাচনী উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে। এই দফায় মোট ২২৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেন প্রায় ৪০ লক্ষ ৭৯ হাজার ভোটদাতা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছত্তিশগড়ে ৭০.৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে এবং অরুণ গোয়েল সহ কমিশনের অন্যান্যদের সহযোগিতায় ছত্তিশগড়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মোহলা মানপুর, আন্তাগড়, ভানুপ্রতাপপুর, কাঙ্কের, কেশকাল, কোন্ডাগাঁও, নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর এবং কোন্তা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত এবং সংবেদনশীল ভোট কেন্দ্রে ১৫৬জন ভোটকর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভোট গ্রহণের পর তাদেরকে আবার হেলিকপ্টারে করে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভোটি নিজেদের খুশি প্রকাশ করেছেন ছত্তিশগড়ের বস্তার বিভাগের ১২৬টি গ্রামের বাসিন্দারা । কারন স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো ৭টি বামপন্থী চরমপন্থী (এলডব্লিউই) প্রভাবিত জেলায় এখানকার ভোটকেন্দ্রগুলির ভোটারদের সামনে আসা বিপদ্গুলি দূর করে দিয়েছে , কারন এখন এদের ঘন জঙ্গল, পাহাড়, নদী পেরিয়ে ভোট দিতে যেতে হয়নি। এমনকি আগের মতো এখন আর নকশালদের হুমকির মুখেও তাদের পড়তে হয়নি। নতুন ভোট কেন্দ্রগুলি ইসিআই নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই নিয়মের লক্ষ্যই হল, কোনও ভোটারকে ভোট দেওয়ার জন্য দুইকিলোমিটারের বেশি যেতে হবে না।
ছত্তিশগড়ের নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪০,৭৮,৬৮০ জন ভোটাদাতা ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ছত্তিশগড়ের কাঙ্কেরে একটি অনন্য উদ্যোগে, পাখাঞ্জুর এলাকায় একটি রেইনবো মডেল পোলিং বুথ তৈরি করেছিল। সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ভোটকেন্দ্রে তৃতীয় লিঙ্গের নিরাপত্তা কর্মীও ছিলেন, যা ভোটদাতাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল।
ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় একটি আইইডি বিস্ফোরণের ঘটনা এবং কাঙ্কের জেলায় মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের মতো ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ এদিন শান্তিপূর্ণই হয়েছে।