জাতিগণনায় বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে মুসলিম-যাদব জনসংখ্যা, বিহারে অভিযোগ অমিত শাহের

মুজাফফরপুর, ৫ নভেম্বর (হি. স.) ‘জাতিগণনায় ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম এবং যাদব জনসংখ্যাকে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।’রবিবার বিহারে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি আক্রমণ করেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকেও ।

রবিবার বিহারের মুজাফফরপুর জেলায় একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তোপ দেগে অমিত শাহ বলেছেন, ‘জাতিগণনায় ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম এবং যাদব জনসংখ্যাকে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এটা তোষণের রাজনীতির অংশ।’ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করে শাহ বলেন, ‘এই জোটের একমাত্র লক্ষ্য হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করা।’ এরপরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংযোজন, ‘নীতীশ কুমারের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা উচিত। ইন্ডিয়া জোট তাঁকে আহ্বায়কও করেনি।’ রাজ্যে ‘গুন্ডারাজ’-এর জন্য জেডি(ইউ) নেতা নীতীশই দায়ী বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেছেন, ‘আরজেডি এবং জেডি(ইউ) জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের সমর্থনে ছিল না। লালুজি বলেছিলেন, ৩৭০ ধারা তুলে দিলে রক্তের নদী বয়ে যাবে। লালুজি, রক্তের নদী ছাড়ুন, নুড়ি ছুড়ে ফেলার সাহসও কারও ছিল না।’

নীতীশ কুমার এবং লালুপ্রসাদ যাদবকে একযোগে কটাক্ষ করে অমিত শাহের কটাক্ষ, ‘এরা পরিবারের দোকান চালাচ্ছেন, একজন প্রধানমন্ত্রী হতে চান এবং অন্যজন তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান। আমি বলতে এসেছি, নীতীশবাবু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখা ছাড়ুন। ইন্ডিয়া জোটের লোকেরা আপনাকে আহ্বায়কও করেনি।’ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিহারের ৪০টি আসনের সবকটিতেই জিতবে বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাল্টা দিয়েছেন। শাহকে কটাক্ষ করে তেজস্বী বলেন, ‘আমি অমিত শাহের বক্তব্য শুনেছি। তিনি বলেছেন, জাতিগণনায় যাদব ও মুসলিমদের জনসংখ্যা বেড়েছে এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কমেছে। আমি বলতে চাই, সমীক্ষা ভুল হলে সারা দেশে জাতিগণনা করুন। কে আপনাকে থামিয়েছে? আপনি কেন তা করছেন না?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *