কলকাতা, ২ নভেম্বর (হি.স.): বিশ্বকাপে কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত ও শ্রীলঙ্কা, তা দেখে নেওয়া যাক।
ভারত (৬ জয়, হার ০) :
শক্তি: দাপুটে ব্যাটসম্যান ও বোলার:
২০১১ সালের পর ভারতে আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বকাপ।সেবার ধোনির ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। স্বাগতিকেরা টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে। দাপুটে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে জিতেছে টানা ৬ ম্যাচ। রান তাড়া কিংবা বোলিংয়ের শুরুটাও দুর্দান্ত হচ্ছে ভারতের। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত ৬ ম্যাচে সম্ভাব্য ৬০ উইকেটের মধ্যে ৫৬টি নিয়েছেন ভারতের বোলাররা। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মতো দল ভারতের বোলারদের বিপক্ষে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। ৫টি ইনিংসে রান তাড়া করে জিতেছে ভারত এবং তাতে দারুণ ভূমিকা ছিল বিরাট কোহলি ও রোহিতের।
দুর্বলতা: হার্দিক পান্ডিয়ার চোট:
বিশ্বকাপ এগিয়ে চলার সঙ্গে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে ভারত। আর তাতে হার্দিক পান্ডিয়া অনুপস্থিত থাকলে ভুগতে পারে স্বাগতিকেরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন ভারতের এই পেস অলরাউন্ডার। মোহাম্মদ শামি তাঁর জায়গায় দলে ঢুকে দারুণ বোলিং করলেও একাদশে একজন পেস অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি ভোগাতে পারে রোহিতের দলকে।
ম্যাচ বাকি: শ্রীলঙ্কা ( আজ ২ নভেম্বর), দক্ষিণ আফ্রিকা (৫ নভেম্বর) ও নেদারল্যান্ডস (১২ নভেম্বর)।
শ্রীলঙ্কা (২ জয়, হার ৪):
শক্তি: নিশাঙ্কার ফর্ম
বিশ্বকাপে ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা দারুণ ফর্মে আছেন। টানা ৪ ম্যাচে পেয়েছেন ফিফটি। শেষ ৫ ইনিংসের প্রতিটিতেই ভালো শুরু পেয়েছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৬ রানে আউট না হলে বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ফিফটির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতেন নিশাঙ্কা।
দুর্বলতা: চোট:
চোটের কারণে তারকা স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ছাড়াই বিশ্বকাপে এসেছে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপেও চোটে জর্জরিত দল। অধিনায়ক দাসুন শানাকা, পেসার লাহিরু কুমারা ও মাতিশা পাতিরানাও চোটে পড়ে দেশে ফিরেছেন। তাঁদের জায়গায় এসেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, চামিকা করুনারত্নে ও দুষ্মন্ত চামিরা। অর্থাৎ, চোটের কারণে সেরা একাদশ খেলাতে পারছে না শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ বাকি: ভারত ( আজ ২ নভেম্বর), বাংলাদেশ (৬ নভেম্বর) ও নিউজিল্যান্ড (৯ নভেম্বর)।

