টিসিএ-তে আরও ঘোটালা, সিট-এ আস্থা বিচারে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আর্জি

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ অক্টোবর।। সামগ্রিকভাবেই আস্থা জানানো হয়েছে সিট-এর যথোপযুক্ত পদক্ষেপে। উচ্চ আদালতের রায়ে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অধিকৃত এমবিবি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট কেলেঙ্কারি নিয়ে “সিট” গঠনের অনুমোদন মোতাবেক গঠিত সিট যথারীতি তদন্তকার্য শুরু করে দিয়েছে। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত ক্রিকেট ক্লাবসমূহ ও মহকুমা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিট-এর তদন্তকার্যের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রেখে টিসিএ-তে ঘটে যাওয়া আরও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ তথ্য সহযোগে তুলে ধরা হয়। আহ্বায়ক সেবক ভট্টাচার্য সঙ্গে আরও ১৭ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে ৩ সদস্য বিশিষ্ট সিট যেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সে বিষয়ে অনুরোধ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে শ্যামল ভট্টাচার্য, উপানন্দ দেববর্মা, মনীষ ঘোষ সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকার্য সম্পাদনে কাজে লেগে যাওয়া সিট তথা বিশেষ তদন্তকারী দল অবশ্যই যে-কোনও ধরনের প্রভাব মুক্ত থাকে সেটাও প্রত্যেক ক্রিকেটপ্রেমী এবং ক্লাব ও মহকুমার আর্জি রয়েছে। নরসিংগড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটে ধার্য অর্থকরী বিষয় সম্পর্কিত তথ্যসম্ভারে ঘোটালা উপস্থাপন করতে গিয়ে প্রায় ১৮ কোটি টাকা অতিরিক্ত ধরা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ১১ কোটি টাকার লোন হিসেবে উল্লেখ, বিষয়টিও সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। অর্থকরী অনেক বিষয় সভাপতিকে জানানো হয়নি বলেও তাদের অভিযোগ রয়েছে। টিসিএ-র সর্বশেষ বাজেটে উল্লেখিত খরচের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে সদস্যরা সম্মতি প্রদান করছেন না বলে পর পর দুইবার বাজেট পাশ না হওয়ার বিষয়েও তাঁরা আশ্চর্যান্বিত। ‌ সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে টিসিএ অফিসেও ঘুঘুর ভাষা রয়েছে বলে তাঁদের অভিমত। সিট-এর তদন্তে এই বিষয়গুলোও যেন উঠে আসে, তারও অনুরোধ রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ত্রিপুরার ক্রিকেটারদের পৌঁছানোর লক্ষ্যে টিসিএ-কে মূল টার্গেট ধরে কাজ করতে হবে বলে তাঁদের অভিমত। প্রকৃত দোষীদের প্রকাশ্যে এনে উপযুক্ত শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা গ্রহণেরও আর্জি রয়েছে তাঁদের।