কলকাতা, ১ নভেম্বর (হি. স.) : সেনাবাহিনীর বাইরে কোনও সাধারণ নাগরিকের চিকিৎসা করাতে চায় না কম্যান্ড হাসপাতাল। সেই আর্জি নিয়ে এ বার, অর্থাৎ তৃতীয়বার তারা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদন, সেনার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কোনও নাগরিককে যেন সেখানে চিকিৎসার জন্য না পাঠানো হয়। উচ্চ আদালতে এই মর্মে মামলা করেছেন কম্যান্ড কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্ন আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার জ্যোতিপ্রিয়কে কম্যান্ড হাসপাতালেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিল ইডি। সকাল ১১টা নাগাদ ওই হাসপাতালে ঢুকেছিলেন মন্ত্রী। তাঁকে বার করা হয় বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ। অর্থাৎ, বুধবার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা কম্যান্ডে জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলেছে। সেখান থেকে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে মন্ত্রীকে।
কম্যান্ড হাসপাতালের তরফে আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডে বলেন, ‘‘কম্যান্ড হাসপাতাল সেনার চিকিৎসার জন্য। সেখানে সাধারণ নাগরিকদের যাতে ভর্তি করানো না হয়, সেই আবেদনে মামলা করা হয়েছে। এই হাসপাতালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। বাইরের রোগী এলে কর্তৃপক্ষের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। তাই চিকিৎসায় সমস্যা হয়। সেই কারণেই এই মামলাটি করা হল।’’
সোমবার কম্যান্ড হাসপাতাল দ্বিতীয় বার ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালতে হাসপাতালের তরফের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের হাসপাতালে এই মুহূর্তে অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। অনেক রোগী সেখানে চিকিৎসাধীন। তাই বাড়তি চাপ নেওয়া সম্ভব নয়। একই আবেদন নিয়ে শনিবারেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।কিন্তু কম্যান্ডের আবেদন খারিজ করে দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। আগের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনে মন্ত্রীকে নিয়ে ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যেতে পারবেন তদন্তকারী আধিকারিক।