কেভাডিয়া, ৩১ অক্টোবর (হি.স.): “আগামী ২৫ বছর আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৫ বছরের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতেই হবে। জোর দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গুজরাটের কেভাডিয়ার একতা নগরে রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “এই পবিত্র অনুষ্ঠানে আমি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের চরণে প্রণাম করছি। রাষ্ট্রীয় ঐক্য দিবসে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। আগামী ২৫ বছর ভারতের জন্য এই দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২৫ বছর।” মোদী বলেছেন, “যারা একতা নগরে আসছেন তাঁরা শুধুমাত্র এই বিশাল মূর্তিই (স্ট্যাচু অফ ইউনিটি) দেখতে পাবেন না, বরং সর্দার প্যাটেলের জীবন, ত্যাগ এবং এক ভারত গড়তে তাঁর অবদানের আভাস পাবেন।”
গুজরাটের কেভাডিয়ার একতা নগরের স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে মঙ্গলবার সকালে জাতীয় একতা দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বিভিন্ন বাহিনীর শৌর্য্য ও শক্তিও চাক্ষুস করেন তিনি। পরে জাতীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “এখানকার সমস্ত যুবক এবং সাহসী মানুষের উচ্ছ্বাস এই জাতীয় ঐক্য দিবসের একটি বড় শক্তি।” তিনি বলেছেন, “ভারত ও কাশ্মীরের মধ্যে ৩৭০ ধারার ‘প্রাচীর’ অপসারণ করা হয়েছে; কাশ্মীরের মানুষ সন্ত্রাসের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসেছেন।”
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আগামী ২৫ বছর ভারতের জন্য এই দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ২৫ বছর। এই ২৫ বছরে আমাদের ভারতকে সমৃদ্ধ করতে হবে, আমাদের ভারতকে উন্নত করতে হবে। স্বাধীনতার ২৫ বছর আগে একটি সময় ছিল, যেখানে প্রতিটি দেশবাসী স্বাধীন ভারতের জন্য আত্মত্যাগ করেছিল। এখন, আগামী ২৫ বছর আমাদের জন্য একটি সুযোগ এবং প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের সর্দার প্যাটেলের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “ভারতকে সাধুবাদ জানাচ্ছে বিশ্ব। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরে আমরা গর্বিত! আমরা গর্বিত যে বিশ্ব যুদ্ধ এবং অন্যান্য সংকটের মুখোমুখি হলেও, আমাদের সীমান্ত নিরাপদ। আমরা গর্বিত যে আমরা শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হব।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “এই অমৃত কালের মধ্যে ভারত ঔপনিবেশিক অতীতকে ঝেড়ে ফেলছে। আমরা আমাদের ঐতিহ্য রক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছি। ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকা আর ব্রিটিশ শাসকদের প্রতীক বহন করে না। ইন্ডিয়া গেটে ব্রিটিশ রাজার পরিবর্তে, এখন আমাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য নেতাজি সুভাষের মূর্তি রয়েছে।”