মহিলা ক্রিকেট : লড়াই করে হরিয়ানায় হেরে পঞ্চম স্থান পেয়ে ফিরছে ত্রিপুরা

ত্রিপুরা-‌১২৮(২০)

হরিয়ানা-‌১২৯/‌৭(১৯.৪)

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ অক্টোবর।। পঞ্চম বোলারের অভাবে পরাজয় দিয়ে আসর শেষ করলো ত্রিপুরা। হরিয়ানাকে একসময় চাপে রেখেছিলো ত্রিপুরা। রাজ্যদলের গড়া ১২৮ রানের জবাবে ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৪ রান করেছিলো ত্রিপুরা। ওই সময়ই নিয়মিত ৪ বোলারকে দিয়ে ওভার শেষ করিয়ে নেন ত্রিপুরার অধিনায়িকা। শেষ পর্যন্ত এতেই ‘‌কাল’ হলো। পঞ্চম বোলারের অভাবে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হলো ত্রিপুরার। জাতীয় সিনিয়র মহিলাদের টি-‌২০ ক্রিকেটে। তিরুবানন্তপুরমের স্পোর্টস হাব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট আকাদেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ত্রিপুরা পরাজিত হয় ৩ উইকেটে। ত্রিপুরার গড়া ১২৮ রানের জবাবে হরিয়ানা ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। গ্রুপে ৭ ম্যাচ খেলে ‌হরিয়ানা ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে এবং ত্রিপুরা ১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকে। সোমবার সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট নিয়ে ত্রিপুরা ১২৮ রান করে। ত্রিপুরার দুই ওপেনার মৌচৈতি দেবনাথ এবং ইন্দ্ররাণী জমাতিয়া শুরুটা ভালো করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৫৬ বল খেলে ৭১ রান যোগ করে দলকে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন দেখাতে থাকেন। মৌচৈতি ২৫ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ এবং ইন্দ্ররাণী৩৭ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৬ রান করেন। ওই দুজন আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে যায় ত্রিপুরার ইনিংস।শেষ দিকে মৌটুসী দে ১২ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ এবং হেনা হটচান্দিনী ২৪ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রান করেন। হরিয়ানার পক্ষে অমনদ্বীপ কৌর ১৪ রান দিয়ে ৫ টি এবং শীতল রাণা ১১ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট পেয়েছেন। জবাবে খেলতে নেমে শুরুতে ত্রিপুরার বোলারদের আটোসাটো বোলিংয়ে চাপে থাকে হরিয়ানা। শেষ দিকে দলনায়িকা শেফালি বর্মা, রিমা শিশুদিয়া এবং সুমন গুলিয়ে দুরন্ত ব্যাটিং করে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেয় হরিয়ানা-‌কে। হরিয়ানা ২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। দলের পক্ষে শেফালি ২৭ বল খেলে ৭ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩, সুমন ২৬ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮, রিমা ২৬ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ এবং শীতল রাণা ১৩ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে প্রীয়াঙ্কা আচার্য, হেনা হটচান্দিনী, রেশ্মা নায়েক এবং নিবেদিতা দেবনাথ ১ টি করে উইকেট পেয়েছেন। আসরে ৭ ম্যাচ খেলে ২ টি ম্যাচে জয়, ৩ টি ম্যাচে পরাজয় এবং ২ টি ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়েছিলো।