নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ অক্টোবর : আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, তারপরেই মণ্ডপে মণ্ডপে কাসাঁ,শঙ্খ, ঘন্টা আর ধুপ প্রদীপে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হবে বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজা। শাস্ত্র মতে পুজোর পাঁচ দিন পুজিঁত হবেন দেবী। আর এই পুজোকে সামনে রেখে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে তারই জোর প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে প্রতিটি মন্ডপে পুজোর প্যান্ডেল তৈরীতে ব্যস্ত পুজো উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে মূর্তি পাড়ায় শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পী।
বলা যায় দুর্গা পূজাকে ঘিরে এমুহূর্তে চারিদিকে শুধু সাজো সাজো রব। সারা রাজ্যের সঙ্গে এবার মনুবাজার থানা এলাকায় ও বেড়েছে পুজোর সংখ্যা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আকর্ষনীয় পুজা অনুষ্ঠিত হয় মনুবাজার বনেদি ক্লাব – ক্লাব আজাদ হিন্দ, দেশবন্ধু ক্লাব, ভারত মাতা সংঘ, রাজীব নগর ক্লাব জনকল্যাণ, সাতচান্দ সমাজ শিক্ষা ক্লাব, এছাড়াও মনুবাজার থানা এলাকার সিন্দুক পাথর, মাগুরছড়া, গুয়াচান্দ নন্দীগ্রাম, সাতচান্দ ব্লক এলাকার আর্যভট্ট ক্লাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুজা। তাছাড়া মনুবাজারে সুকান্ত পল্লী পঞ্চায়েতে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি পুজা। এরমধ্যে এবার মনুবাজার ক্লাব আজাদ হিন্দ সম্পুর্ন কাল্পনিক চিত্রে তৈরী করেছে তাদের পুজা প্যান্ডেল।
এছাড়াও পুজার তিনদিন পুজা প্যান্ডেলে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পাশাপাশি এবারই প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পুজা। একইভাবে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো মাতৃ আরাধনায় ব্রতী হয়েছে রাজীব নগর ক্লাব জনকল্যাণ। এবারো তারা তাদের শ্রেষ্টত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পুজো প্যান্ডেল সহ পুজোর তিন দিনের জন্য নিয়ে আসছে নিত্য নতুন আয়োজন। এদিকে সাতচান্দ সমাজ শিক্ষা ক্লাব এবারই প্রথম দর্শনার্থীদের জন্য নিয়ে আসছে ৫১ মুক্তির পুজা। এছাড়া অন্যান্য ক্লাব গুলিতেও চলছে পুজারা জোর প্রস্তুতি। তবে বাঙ্গালির শেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজাকে ঘিরে সর্বত্র ব্যপক প্রস্তুতি চললেও দেবীর আগমনীতে বাজার গুলিতে চলছে কেমন যেন মন্দা ভাব। হাট বাজার গুলিতে নেই তেমন মানুষের ভীড়, রাস্তাঘাট গুলি ফাঁকা। যার ব্যপক প্রভাব পরতে শুরু করেছে পুজোর বাজারে। তবে এবার মনুবাজার থানা এলাকায় পুজোর সংখ্যা বাড়লেও এখনো পুজোর আনন্দে ভাসলোনা মানুষের মন ।