আগরতলা, ১৩ অক্টোবর: উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হল বিদ্যুৎ। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর রাজ্য এখন নির্ভরশীল। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সরকার সৌরশক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছে। এজন্য বিভিন্ন প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। আজ ৩৩ কেভি লেম্বুছড়া সাব স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
এদিন তিনি বলেন, ভারত সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় মোট ৬ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় এই সাবস্টেশনটি তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের প্রারম্ভিক সূচনা হয়েছিল ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে। প্রায় চার বছর সময় পর এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়েছে।
শ্রী নাথের দাবি , দল যার যার উন্নয়ন সবার। রাজ্য সরকার সাবকা সাথ সবকা প্রয়াস এই স্লোগান কে পাথেয় করে রাজ্যের সার্বিক স্তরের উন্নয়নে কাজ করে চলছে। সেই সাথে বিদ্যুৎ পরিষেবাকে আরো সুচারুভাবে সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এবং বিদ্যুৎ নিগম কাজ করে চলেছে। ভবিষ্যতে কয়লা ও গ্যাস ফুরিয়ে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাতে কোনও সমস্যা না নয় সে লক্ষ্যে সরকার এখন থেকে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে রাজ্যে সৌরশক্তির সাহায্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সৌরবিদ্যুতের পাশাপাশি রাজ্যের খোয়াই, মনু, দেও ও মুহুরী এই ৪টি নদীকে কেন্দ্র করে হাইড্রোপ্রজেক্ট প্ল্যান্ট তৈরি করারও প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে।
এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও বলেন, আধুনিক সভ্যতায় বিদ্যুৎ ছাড়া কল্পনা করা যায় না। তাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখার দিকে রাজ্যের বর্তমান সরকার বিশেষ নজর দিয়েছে। ভবিষ্যতে রাজ্যে একটি সোলার পার্ক গড়ে তোলা যায় কিনা সরকার তাও চিন্তাভাবনা করে দেখছে। ৩৩ কেবি সাব স্টেশনটি মোহনপুরের ১৩২ কেবি এবং ৭৯ টিলার ১৩২ কেভির সঙ্গে সংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে বামুটিয়া এলাকায় ৩৩ কেবি সাবস্টেশন দুটি রয়েছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও একটি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।
উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হল বিদ্যুৎ। আধুনিক হচ্ছে সভ্যতার বিকাশ ঘটছে। তার সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের ব্যবহার। বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে বিদ্যুতের চাহিদা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রেল লাইনের বৈদ্যুতিকরণ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে বলেন তিনি। পাশাপাশি বিদ্যুৎ চুরি বন্ধে সকলের সহায়তা কামনা করেন তিনি।