আগরতলা, ১৩ অক্টোবর: ত্রিপুরায় জুটমিল শ্রমিকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। অতিসত্বর তাঁদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার সদর্থক ভূমিকা পালন করুক। আজ অফিস লেন স্থিত সিআইটিইউ-র রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি জানালেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মানিক দে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় জুটমিলের শ্রমিক কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বকেয়া পাওনার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। প্রথমে হাইকোর্ট ও পরর্বতী সময়ে সুপ্রিম কোর্টেও আইনি লড়াই করে শ্রমিকরা। গত ১০ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের কোনো পথ খোলা নেই। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আগামী চার মাসের মধ্যে সমস্ত কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে আগামী ২৮ নভেম্বর রাজ্য অর্থ দপ্তরের সচিব, জুটমিলের এম ডি, শিল্প দপ্তরের ডিরেক্টর ও সচিবকে স্বশরীরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে৷ ওইদিন তাঁদেরকে হলফনামা দিয়ে বলতে হবে কি কি ভাবে ত্রিপুরার জুটমিল কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
এদিন রাজ্য সভাপতি মানিক দে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর রাজ্য সরকারের অন্যত্র যাওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ত্রিপুরায় যে সরকার শাসনকালে থাকবে সেই সরকারের দায়িত্ব তাঁদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করে দেওয়া। কিন্তু দেখা গেছে সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না। তাই রাজ্য সরকারের কাছে দাবি অতিসত্বর তাদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হোক।