বাংলা-২৮৪/৬ (৫০)
ত্রিপুরা-৪৩ (৩২)
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ অক্টোবর।। ভাইদের মতো বোনেরাও। পড়লো মুখ থুবড়ে। জাতীয় ক্রিকেটে। ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে ত্রিপুরা পরাজিত হয় ২৪১ রানের বড় ব্যবধানে। বাংলার বিরুদ্ধে। অনূর্ধ্ব-১৯ বালিকাদের জাতীয় ক্রিকেটে। একই দিনে অনূর্ধ্ব-১৯ বালক বিভাগেও তামিলনাড়ুর কাছে ধরাশায়ী হয় ত্রিপুরা। ব্যাট এবং বল— উভয় বিভাগেই চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা। বাংলার গড়া ২৮৪ রানের জবাবে ত্রিপুরা মাত্র ৪৩ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলার প্রীয়াঙ্কা প্রসাদ ১৫২ রান করেন। বৃহস্পতিবার সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট নিয়ে ত্রিপুরার নির্বিশ বোলিংয়ের সামনে বিশাল স্কোর গড়ে বাংলা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলা ২৮৪ রান করে। বাংলাকে পাহাড় সমান স্কোরে নয়ে যেতে মূখ্য ভূমিকা নেন প্রীয়াঙ্কা। ঝড়ো ব্যাটিং করে প্রীয়াঙ্কা করেন দেশত রান। ব্যাক্তিগত ১৫২ রান করতে ১৩৬ বল খেলেন। ডানহাতি ওই ব্যাটসম্যানটির ইনিংস সাজানো ছিলো ১৯ টি বাউন্ডারি ও ৫ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। এছাড়া দলের পক্ষে বিপাসা ঘোষ ৪৫ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪, মর্জিনা খাতুন ২৬ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩, এক্কা রায় ৩৪ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ এবং বিদীশা দে ২০ বল খেলে ১৬ রান করেন। দল অতিরিক্ত খাতে পায় ১৮ রান। ত্রিপুরার পক্ষে বিজয়া ঘোষ ৬১ রান দিয়ে ২ টি উইকেট পেয়েছেন। জবাবে খেলতে নেমে বাংলার বোলারদের আটোসাটো বোলিংয়ে মাত্র ৪৩ রানে গুটিয়ে যায় ত্রিপুরার ইনিংস। ত্রিপুরার কোনও ব্যাটসম্যানই ২২ গজে তমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। রাজ্যদলের পক্ষে রেশ্মি নোয়াতিয়া ২০ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২, রিফু দেববর্মা ২৬ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ এবং প্রীয়া সরকার ৭১ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ রান করেন। বাংলার পক্ষে বিদীশা দে ৯ রান দিয়ে ৩ টি, প্রীয়াশি আইচ ৩ রান দিয়ে ২ টি এবং জান্নবি রাজ পাশোয়ান ৬ রান দিয়ে ২ টি উইকেট দখল করেন। ১৪ অক্টোবর গ্রুপের সবথেকে শক্তিশালী দল উত্তরাখন্ডের মুখোমুখি হবে ত্রিপুরা। আসরে আপাতত ৩ ম্যাচ খেলে ১ টি ম্যাচে জয় এবং ২ ম্যাচে পরাজিত হয় ত্রিপুরা।

