কলকাতা, ১২ অক্টোবর (হি.স.) : উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাতের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা দিলেন রাজ্যপাল। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সিভি আনন্দ বোসের। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের ‘কফি টেবিলে বসার’ বার্তার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি রাজ্যপালের। কিছুদিন দিন আগেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত মেটাতে এই নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
সেখানে একদিকে যেমন রাজ্যপালকে নতুন করে আর অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে কাউকে নিয়োগ না করতে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, তেমনই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সঙ্গে কফি টেবিলে বসে আলোচনার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের যে বার্তার কিছুদিন পরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজ্যপালের। এবার দেখার, রাজ্যপালের চিঠির পাল্টা কী উত্তর আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত কাটার মতো কোনও বৈঠক নিকট ভবিষ্যতে হয় কি না, সেদিকেও রয়েছে নজর।
উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতা ও মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন, মামলা বিচারাধীন থাকাকালীনও ১২ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এটা ঠিক নয়।
এরপরই এই নিয়ে সি ভি আনন্দ বোসের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্য, একটা বা দুটো নাম আছে যা মুখ্যমন্ত্রী ও আচার্য দু’জনের কাছেই গ্রহণযোগ্য। আদালত তাঁদের (উপাচার্য) নিয়োগ দিতে পারে। যার পরই বরফ ভাঙতে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে একসঙ্গে বসে আলোচনার পরামর্শও দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, আমরা (রাজ্য সরকার) আচার্যকে বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি। রাজ্য সরকারের এই অভিযোগ শুনে বিচারপতি বলেছিলেন, একটা সময় ঠিক করে দু’পক্ষ (মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল) কফির টেবিলে বসতে পারেন। মতের অমিল হতেই পারে, তার মানে এই নয় আমরা দেখা করি না। বৈঠকে রফাসূত্র বেরিয়ে এলে আদালতকে সেটাও জানাতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এরপর রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির জন্য আচার্য, ইউজিসি ও রাজ্য সরকারের কাছে থেকে নাম চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারের জন্য তা ২-১ হচ্ছে। আরও ২ জনকে কমিটিতে যোগ করা উচিত। একজন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি ও আরেক জন উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিকে রাখা হোক। তা হলে ৫ জনের কমিটি হবে।