নয়াদিল্লি, ২ অক্টোবর (হি.স.): কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ এনে দিল্লির রাজঘাটে ধর্নায় বসল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা-কর্মীরা। ঘটনাচক্রে সোমবার গান্ধী জয়ন্তী, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করার পরই ধর্না কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল। রাজঘাটে ধর্না-কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত হলেও, তৃণমূলকে এই বিষয়ে লিখিত অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। তবে পুলিশ অনুমতি না দিলেও গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে ধর্নায় বসে পড়েন অভিষেকেরা।
একে একে রাজঘাটে পৌঁছন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, মদন মিত্র প্রমুখেরা। দলের মুখপাত্র কুণাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “তৃণমূলের জন্যই রাজ্যের নেতাদের দিল্লি পাঠাতে হচ্ছে বিজেপিকে।” রাজঘাটের সামনে জড়ো হন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি থেকে ‘বঞ্চিত’ মানুষজনেরা। গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাজঘাটে এমনিতেই কড়া পুলিশি প্রহরা থাকে। সোমবার গান্ধী জয়ন্তী হওয়ার কারণে সকাল থেকেই সেখানে গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাতে যান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। তার উপর সেখানে তৃণমূলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়।
পরে রাজঘাটে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের আগেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের অন্য নেতারা। অন্য সাংসদদের সঙ্গে সেখানে বসে পড়েন অভিষেক। অভিষেক-সহ সব সাংসদ এবং নেতাদের হাতে ছিল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দ্রুত মঞ্জুর করার দাবি সংবলিত পোস্টার। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তনু সেন, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রমুখ। অভিষেকের সঙ্গে ধর্নায় বসেন দলের অন্য রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদেরাও। আছেন রাজ্যের বেশ কিছু মন্ত্রী এবং সংগঠনের পদাধিকারীরা। ধর্নায় দেখা যায় সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, কাকলি ঘোষদস্তিদার, দলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ প্রমুখকে। ধর্নায় হাজির প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র বিরুদ্ধে একাধিক পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড।

