বেঙ্গালুরু, ২৯ সেপ্টেম্বর (হি.স.): প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ুতে কাবেরী নদীর জল ছাড়া নিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কর্ণাটক। কাবেরীর জল ছাড়ার প্রতিবাদে শুক্রবার কর্ণাটকজুড়ে পালিত হচ্ছে ১২ ঘন্টার বনধ। এই বনধের ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী সংগঠন এবং কৃষক সংগঠনগুলি। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অচল থাকবে দক্ষিণের এই রাজ্য। সকাল থেকেই বনধের ছবি ধরা পড়েছে বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্তে। বেঙ্গালুরুতে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। মান্ড্য জেলাতেও জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বনধের ভালো প্রভাবই লক্ষ্য করা গিয়েছে বেঙ্গালুরুতে, বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। পুলিশ-প্রশাসনও তৎপর রয়েছে। নানা স্থানে আটক করা হয়েছে ধর্মঘটীদের।
কাবেরীর জল নিয়ে কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি তামিলনাড়ুকে ১৫ দিনের জন্য পাঁচ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে কর্ণাটককে নির্দেশ দিয়েছে কাবেরী জল বণ্টন পর্ষদ বা কাবেরী ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (সিডব্লিউএমএ)। এই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। তার পরই কর্ণাটকে বন্ধ ডাকা হল। শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী সংগঠন ‘কন্নড় ওকুট্টা’ এবং বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে কর্ণাটকের অটো রিকশা এবং হেল রাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন। ফলে শুক্রবার সকাল থেকেই কর্ণাটকের রাস্তায় দেখা মেলেনি ওলা, উবেরের মতো ক্যাব পরিষেবার। শপিং মল, সিনেমা হলও বন্ধ ছিল। সকালের দিকে মেট্রো ছিল একেবারে খালি।
বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার অতিরিক্ত এসপি মল্লিকার্জুন বালাদান্ডি জানিয়েছেন, “বেশ কয়েকটি কন্নড়পন্থী সংগঠনের দ্বারা বনধ ডাকা হয়েছে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। সংগঠনের ৫০ জনেরও বেশি লোককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে… আমাদের পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছে।” বেঙ্গালুরু সিটির ডিসিপি (অপরাধ) শেখর এইচ টেকান্নাভার বলেছেন, “আমরা ফোর্স এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছি। আমরা দেখব যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”