আগরতলা , ২৩ সেপ্টেম্বর : ফের একবার গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবি জানিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের এডিসি এলাকাগুলোতে ১২ ঘন্টার বনধ ঘোষণা করল তিপ্রা মথা। ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলবে এই বনধ। শনিবার রাজবাড়িতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর দেব্বর্মন। পাশাপাশি এদিন নিজের জাতির প্রতি একজোট হয়ে এই বনধ সফল করার আহবান জানান তিনি।
তাঁর কথায় , কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে রাখতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এডিসি এলাকা ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথা। সাংবিধানিক দাবি নিয়ে চ্যালেঞ্জ হবে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে। তাই এই বনধে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষকে এক সুরে আওয়াজ তোলা দরকার। যাতে দিল্লি পর্যন্ত এই আওয়াজ পৌঁছায়। কারণ চাপে না রাখলে মনে থাকবে না দিল্লির। তাই ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বনধ চলবে। বনধের আওতার বাইরে থাকবে জরুরি পরিষেবা। এবং এ বনধ যদি বাইরে থেকে কোন সংগঠন, দল বা কোন অংশের মানুষ সমর্থন করে তাহলে স্বাগত জানানো হবে।
এদিন তিনি বলেন, এই দাবি জনজাতিদের অধিকার আদায়ের জন্য। দিল্লি গিয়ে যতবারই সরকারের সাথে আলোচনায় বসেছে ততবারই জনজাতিদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।জনজাতিদের নতুন প্রজন্মের সুরক্ষার জন্য সাংবিধানিক দাবি পূরণের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এদিন তিনি আরো বলেন, উপনির্বাচনে দুটি আসনে ত্রিপুরা মথা লড়াই করে শাসকদলের স্বার্থে ভোট কাটাকাটি করেছে। বিগত বিধানসভায় নির্বাচনের পর এই অভিযোগটি ওঠার পর উপ নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়াই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মথা।সিপিআইএমের বিরুদ্ধে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন কিভাবে রেগিং করতে হয় তা জানার জন্য সিপিআইএম বই লিখেছে। তারা বিগত বিধানসভায় নির্বাচনে বিরোধীদের সাথে কথা বলে আবার কাউকে না জানিয়ে ৪৭ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে নেয়। সুতরাং সিপিআইএমের ভূমিকা নিয়ে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এডিসি -র চেয়ারম্যান জগদীশ দেববর্মা, দলের নেতা মেবার কুমার জমাতিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, দিশেহারা মুকুটহীন রাজা কর্মীদের কাছে ক্রমশ গ্রহণ যোগ্যতা হারাচ্ছে তিপ্রা মথা দল। দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে দলের অভ্যন্তরেই। মাঝে মধ্যেই প্রকাশ্যে কিংবা দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন নেতৃত্ব। জনজাতিদের বিশ্বাসে ধরেছে চিড়। এই অবস্থায় আন্দোলন মুখী হয়ে দলকে চাঙ্গা করতে ফের একবার দিল্লী মুখী রাজনীতি প্রিয় নেতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। পূর্বেও বহুবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে এসেছিলেন মথা সুপ্রিমো।