ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যকে বিঁধল বিজেপির

কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর (হি স)।”আমাদের রাজ্যে সমাজবিরোধীরা যেমন ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে, পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না, সেরকমই মশারাও ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে, এই সরকার বা পুরনিগম তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও নির্ভয়ে বিচরণ করছে।”

সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইয়ের তথ্য সামনে আসতেই ডেঙ্গি নিয়ে শনিবার প্রচারমাধ্যমে রাজ্যকে বিঁধলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। পাল্টা উত্তর দিয়েছে তৃণমূলও।

রাজ্যকে একহাত নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোথাও কোনও তৎপরতা নেই। ডেঙ্গি রোধ করার জন্য পুরনিগমের যে ভূমিকা থাকা উচিত, জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য যে কর্মসূচি নেওয়া উচিত এবং কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত সেটা একবিন্দু মানে না। সেটা দিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না। আমাদের রাজ্যে সমাজবিরোধীরা যেমন ভয়মুক্ত হয়ে গেছে, যে পুলিশ তাদের কিছু করতে পারবে না, সেরকমই মশারাও ভয়মুক্ত হয়ে গেছে যে এই সরকার বা পুরনিগম তাদের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও নির্ভয়ে বিচরণ করছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই যে, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল কলকাতায় পাঠিয়ে দিচ্ছে।

বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করছে, সেখানে ডেঙ্গি শব্দ নেই। কোথাও বলছে, অজানা জ্বর, কোথাও বলছে পাহাড়ি জ্বর। মুর্শিদাবাদ জেলা, মালদা জেলায় এধরনের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এখানেও ডেঙ্গি প্রতিরোধ করার যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন আছে, সরকারকে যতটা তৎপর হতে হয়, মুখ্যমন্ত্রী-স্বাস্থ্যমন্ত্রীর যতটা মধ্যস্থতার প্রয়োজন আছে সেটা হচ্ছে না। কার্যত মানুষকে খোলা মৃত্যুর দিকে, অসহায় অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”

যদিও প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, “কেন্দ্রের ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের যে প্রতিষ্ঠান আছে, তারা এর আগে বহুবার বাংলার তথ্যকে প্রশংসা করেছে। আজকে তারা যে তথ্যটা দিচ্ছে, সেই তথ্যটা ঠিক নয়। বাংলায় ডেঙ্গি সংক্রান্ত যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সেটা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পাঠানো হয়। ডেঙ্গি শুধু পশ্চিমবঙ্গে বিষয় নয়, এটা একটা বিশ্বের সমস্যা। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় নিয়ন্ত্রণে আছে ডেঙ্গি।”