BRAKING NEWS

প্রয়াত হলেন কবিতা বেহেনজী,শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ অন্যান্য ভক্তরা

আগরতলা, ২২ সেপ্টেম্বর।। প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের ইনচার্জ কবিতা বেহেনজি শুক্রবার প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন বলেও জানা গেছে। ভর্তি ছিলেন আইএলএস হাসপাতালেও। শুক্রবার উনার মৃত্যুর খবর শুনতে পেয়েই শোকের আবহ নেমে আসে প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারীর সকল সদস্যদের মধ্যে। তাঁর মরদেহ বনমালীপুর ও আড়ালিয়া আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, সস্ত্রীক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ অগনিত ভক্ত, গুনমুগ্ধ এবং বিশিষ্টজনেরা। আড়ালিয়া প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঐশ্বরিয় মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে প্রয়াতের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা, সস্ত্রীক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা বলেন, প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমারী ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের ইনচার্জ কবিতা বেহেনজি আজ বেসরকারি হাসপাতালে দেহত্যাগ করেছেন। তাঁর প্রয়াণে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন তিনি। ঈশ্বরের কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তার প্রয়াণে শোক ব্যক্ত করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, খুব ভালো মানুষ ছিলেন। ত্রিপুরার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি ত্রিপুরার ভালো কিছু দেখলে সেটা নিঃসংকোচে বলেতেন। এমনকি নেশার বিরুদ্ধেও তিনি প্রচুর কাজ করেছেন। ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ও বেশ কিছু যুবককে নেশার গ্রাস থেকে বের করে এনেছেন বলেও জানিয়েছেন মানিক সরকার। তিনি আরও বলেন তার এই প্রয়ান ত্রিপুরার জন্য বড় ক্ষতি।

উনার প্রয়াণে শোক ব্যক্ত করেছেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, তিনি গভীরভাবে মর্মাহত উনার প্রয়াণে। রাজ্যে এসে বহুবার তিনি তার মাতৃসুলভ স্নেহ লাভ করেছেন। এনার এই প্রয়াণে ত্রিপুরার ক্ষতি হল বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য মাত্র ১১ বছর বয়সে ঈশ্বরীয় জ্ঞানে আলোকিত হওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে মহান কর্মযজ্ঞে ব্রতী হওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে ১৯৮৯ সাল থেকে সর্বক্ষণের সেবাধারী হিসাবে এবং ১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্বসেবা তথা ঈশ্বরীয় সেবায় ত্রিপুরায় সমর্পিত হয়েছিলেন কবিতা বেহেনজী। নেশামুক্তি, স্বাস্থ্যশিবির, স্বচ্ছতা অভিযানের মত বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তিনি সর্বদাই ত্রিপুরার সুন্দর পরিবেশের জন্য কাজ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *