বাঁকুড়ায় ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত-উদ্বেগ জেলা জুড়ে

বাঁকুড়া, ২২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বাঁকুড়া জেলা জুড়ে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্তে সর্ব স্তরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৭৭। এরমধ্যে বাঁকুড়া পৌর এলাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশী। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা নিশানা করেছেন পৌর প্রশাসনকে।
অভিযোগ, তাদের উদাসীনতার কারণেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা তীব্র সমালোচনা করে বলেন পৌরসভা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সম্পূর্ন ভাবে ব্যর্থ। এলাকার নর্দমা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ফলে নর্দমার জল জমে থাকছে এবং এই জমা জলে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। তার অভিযোগ পুর এলাকার পাশাপাশি প্রতিটি ব্লক থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার খবরেও তা দমন করার উদ্যোগ সেভাবে চোখে পড়ছে না। আসলে পুর প্রশাসন থেকে পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েত গুলিও উদাসীন। তারা কেবল কল্পিত উন্নয়ন নিয়েই মশগুল।

জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি অরূপ ব্যানার্জি বলেন, পৌরসভার সময় কোথায় এসব পর্যবেক্ষণ করার। তারা নিজেদের ঢাক পেটাতেই ব্যস্ত। বিরোধীদের এই সব অভিযোগের জবাবে পৌর প্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন আমাদের প্রত্যেক কাউন্সিলর প্রতিটি ওয়ার্ডে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেছেন। তারা পুর নাগরিকদের সচেতন করছেন। তবু কিছু এলাকার মানুষ এখনও সচেতন হচ্ছে না। তবে পুরকর্মীরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় নিরলস ভাবে কাজ করছেন। বিরোধীদের কাজই হলো সমালোচনা করা।
এদিকে ডেঙ্গুর মারাত্মক প্রভাব সম্বন্ধে সতর্ক বার্তা শুনিযেছেন ক্ষুদে পড়ুয়ারা। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের চাতরী নিম্ন বুনিয়াদী আবাসিক স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা শুক্রবার চাতরী, মানহারা সহ স্কুল লাগোয়া পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে সচেতনতা র‌্যালি বের করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম মন্ডল জানান, ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাচ্ছেন এডিস মশা হচ্ছে ডেঙ্গুর বাহক। আর এই এডিস মশার জন্ম হয় পরিষ্কার জমা জলে। তাই বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে যাতে জল জমে না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাড়ি সংলগ্ন ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা, রাতে মশারি ছাড়া না ঘুমানো ইত্যাদি বিষয়ে প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করছে পড়ুয়ারা বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *