নয়াদিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর (হি.স.): আর মাত্র একদিন। আশা করা হচ্ছে, ২২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) চাঁদে সূর্যোদয় হবে। যদি সূর্যোদয় হয়, তা হলে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে আবার ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। আর সেই আশাতেই বুক বাঁধছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা-সহ গোটা দেশ।
ইসরো আগেই জানিয়েছিল, ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্য উঠতে পারে। ১৪ দিন সূর্য থাকার পর অস্ত গিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করেছিল ল্যান্ডার এবং রোভার। তারপর তাদের ঘুম পাড়িয়ে দেয় ইসরো। যেহেতু সূর্যের আলো থেকে শক্তি সঞ্চয় করে কাজ করবে ল্যান্ডার আর রোভার, তাই হিসেব কষেই সেই মতো চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো হয়েছিল চন্দ্রযানকে। ১৪ দিন সূর্যের আলো থাকার পর চাঁদে আঁধার নেমে আসায় রোভার এবং প্রজ্ঞানকে ‘স্লিপ মোডে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তী সূর্যোদয়ের জন্য অপেক্ষা চলেছে। ২২ সেপ্টেম্বর চাঁদে সূর্যোদয় হতে পারে বলে জানিয়েছিল ইসরো। সব যদি ঠিক থাকে, তা হলে আবার রোভার এবং ল্যান্ডারকে কাজে লাগানো শুরু করবে তাঁরা । তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই ১৪ দিন আঁধারের সময় তাপমাত্রা কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায়। ফলে সেই তাপমাত্রা চন্দ্রযান-৩-এর প্রযুক্তি সহ্য করতে পারবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে আশাবাদী ইসরো। তাই চাঁদে সূর্য উঠলেই রোভার এবং ল্যান্ডারকে জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু হবে। আর যদি, বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ঘুম না ভাঙে, তাহলে চিরদিনের জন্য চাঁদেই থেকে যাবে ভারতের এই দুই দূত।