সিউড়ি, ১৯সেপ্টেম্বর (হি. স.) : “ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ব।” সিউড়িতে দলের পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি নেতাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার মধ্যস্থতা করছে। দলের নেতাকর্মীদের নিজের এলাকায় সংগঠন বাড়ানোর পরামর্শও দেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন সিউড়ি ইণ্ডর স্টেডিয়ামে পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা প্রমুখ। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা যেদিন ক্ষমতা আসি ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করিয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ব। তৃণমূলের চোর পঞ্চক, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায়, ছাপ্পা মেরে, গণনায় কারচুপি করে জয়ী পঞ্চায়েত, বিডিও-আইসিদের দ্বারা নির্বাচিত তৃণমূলের চোর পঞ্চায়েত এরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। ৬ মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন করে আমরা মানুষের পঞ্চায়েত গড়ব।”
অর্থাৎ বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর আরও অভিযোগ, “মমতা পুলিশ পৌঁছে গেছে বিজেপি নেতাদের কাছে। ১ কোটি করে টাকা দেব, তৃণমূলে চলে আসুন। আমার কাছে সব খবর আছে। তবে শুনে রাখুন তৃণমূল থাকবে না৷ যেদিন অনুব্রতর কাছে ভাইপো যাবে আর তৃণমূল থাকবে না। তৃণমূলের লোকেরাও শুনছে, এবার কার পালা।”
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নতুন বোতল পুরনো মদ৷ কেষ্ট গেছে, কাজল এসেছে। সায়গলের জায়গা নিয়েছে কাজলের ভাগ্নে বাপ্পা। পরিণতি কিন্তু একই হবে। যদি ভাবেন যা খুশি করব, সেই দিন চলে গিয়েছে।”
দলের নেতা-কর্মীদের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের বুথ স্তরের সংগঠন শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন বিরোধী দলনেতা। এলাকায় তৃণমূলের দূর্নীতি খুঁজে, তা নিয়ে লড়াই করার ডাক দেন তিনি।