সাহস নেই লড়াইয়ের, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ মুহুর্তে দলের অনুগত কর্মীদের কষ্টের মুখে ফেলে পিছু হটেছে, সিপিএমকে তুলোধুনা প্রদ্যোতের

আগরতলা, ৮ সেপ্টেম্বর : কর্মীদের প্রতি দল কতটা যত্নবান, উপনির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। জনগণের জন্য লড়াই করার সাহস না থাকে তাহলে কেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ মুহুর্তে দলের অনুগত কর্মীদের কষ্টের মুখে ফেলে পিছু হটবে। এই প্রশ্ন তুলে নাম না করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ আজ সিপিএম-কে তুলোধুনা করেছেন। তাঁর সাফ কথা, অভিযোগ করে কোন লাভ হবে না। কারণ, জয়, ভয় এবং শক্তি মনের মধ্যে রাখতে হবে। 

এদিন তিনি সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, এডিসি নির্বাচনের সময় আমরা কারচুপির মুখোমুখি হয়েছিলাম। মোহনপুরে আমার উপর ব্যক্তিগতভাবে হামলা হয়েছিল। কিন্তু, তিপরা মথা পিছু হটেনি। ফলাফল, এডিসি নির্বাচনে আমরা জিতেছি। তাঁর দাবি, আমি যখন ২০১৯ সালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলাম তখন আমাদের উপর হামলা হয়েছিল। আমরা পিছিয়ে আসিনি এবং পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে আনিনি। ফলাফল, ১ শতাংশ থেকে কংগ্রেসের ভোটের হার বেড়ে ২৭ শতাংশ হয়েছিল।

সাথে তিনি যোগ করেন, গত বছর সুদীপ রায় বর্মণ অনেক চাপ সত্ত্বেও উপনির্বাচনে জিতেছিলেন। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস কঠোর লড়াই করেছিল এবং আগরতলা পৌর নির্বাচনে সম্মানজনক ব্যবধান পেয়েছিল। তাই জয়, ভয় এবং শক্তি মনের মধ্যে রাখতে হবে। কারণ, অভিযোগ করলে কোনো লাভ হবে না। তাঁর কটাক্ষ, শেষ ওভার বোলিং না হওয়া পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেওয়াই প্রমাণ করেছে কর্মীদের নিয়ে কতটা আপনারা যত্নবান এবং ২৫ বছর ধরে ত্রিপুরা শাসনকারী দলটির কী পরিণতি হয়েছে।

নাম না করে সিপিএমকে নিশানায় প্রদ্যোতের প্রশ্ন, কোনো দলের যদি জনগণের জন্য লড়াই করার সাহস না থাকে তাহলে কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ মুহূর্তে নিজেদের অনুগত কর্মীদের কষ্টের মুখে ফেলে পিছু হটবে। তিপরা মথা জনজাতিদের অধিকারের জন্য কথা বলে সেই চাপ সহ্য করেছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *