কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বিজেপি ছাড়লেন নেতাজি পরিবারের সন্তান চন্দ্রকুমার বোস। বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখে তাঁর পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে চন্দ্র বোস লিখেছেন, আমি অবিলম্বে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করতে আপনাকে চিঠি লিখছি। আজ আমার ঠাকুরদা শরৎচন্দ্র বসুর ১৩৪ তম জন্মবার্ষিকী। যিনি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বড় ভাই, পরামর্শদাতা এবং কমরেড-ইন-আর্ম ছিলেন। শরৎচন্দ্র এবং সুভাষ বসু, স্বাধীন ভারতের জন্য ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের পক্ষে লড়াই করেছিলেন।
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, আমি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব এবং বিস্তৃত উন্নয়ন কর্মসূচী দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। তখন বসু পরিবারের আদর্শ তুলে ধরার কথাই বলা হয়েছিল। বসু পরিবারের এই মতাদর্শকে আমি বিজেপির মঞ্চ থেকে সারা দেশে প্রচার করব। আরও ঠিক হয়েছিল, বিজেপির মধ্যে থেকেই একটি আজাদ হিন্দ মোর্চা গঠন করা হবে। তার মাধ্যমে আমার কাজ করার কথা ছিল।
কিন্তু বাস্তবে সেসব কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে আমি কিছু প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। কিন্তু তা নিয়েও কোনও আলোচনা হয়নি। আমি দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকেও কোনও সমর্থন পাইনি। তাই এই পরিস্থিতিতে দলে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমি দলের প্রাথমিক পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে চন্দ্রবাবু সস্ত্রীক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে দলের কাজ করা সুযোগ দেওয়ার আবেদন করেন। মূলত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চন্দ্রবাবু রাজ্য বিজেপি-র সহ সভাপতির পদ পান। কিন্তু দলের রাজ্য শাখার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পারছেন না বলে বারবার অভিযোগ যায় দিল্লিতে। এর পর, গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে দল তাঁকে বিজেপি প্রার্থী করে। হেরে যান। তবু দলবিরোধী নানা মন্তব্য করেন।
অভিযোগ, বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিকে তিনি সমালোচনা করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বহুবাপ মতবিরোধ হয়। বহুবার বিজেপি ছেড়ে ফের দলে ফিরেছিলেন। কারণ, অন্য কোনও দল তাঁকে নিতে আগ্রহী নয়। তাই এদিন ফের একবার তাঁর পদত্যাগে বিন্দুমাত্র সাড়া জাগেনি রাজ্য রাজনীতিতে।