আগরতলা, ২৮ আগস্ট।। গৃহবধূ নির্যাতন ও হত্যাকান্ডে স্বামী শশুর ও শাশুড়িকে সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। আদালতের এই রায়ে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন নিহত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনেরা।
রানীরবাজার মোহনপুরের গৃহবধূ ঝুমা দেবনাথ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত তিন আসামীকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত। আসামিরা হলে স্বামী রতন দেবনাথ, শশুর মণীন্দ্র দেবনাথ এবং শাশুড়ি মানদা দেবনাথ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রানির বাজার থানা এলাকার বাসিন্দা প্রাণ ধন দেবনাথের মেয়েকে সামাজিক প্রথায় বিয়ে দিয়েছিলেন মনিন্দ্র দেবনাথ এর ছেলে রতন দেবনাথের সঙ্গে। বিয়েতে পাত্রপক্ষের দাবি অনুযায়ী নগদ টাকা সহ অন্যান্য যাবতীয় সামগ্রী মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল। এর শেষ পরিণতি ঘটেছিল ২০১৪ সালের ২৫ শে মার্চ। গৃহবধূ ঝুমা দেবনাথকে স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এব্যাপারে অভিযুক্তদের নাম ধাম উল্লেখ করে রাণীর বাজার থানায় নিহত গৃহবধুর বাপের বাড়ির তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ মামলার তদন্ত করে আদালতে যথারীতি চার্জশিট জমা দেয়। মামলার তিনজন তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। তারা হলেন এসআই জয়ন্ত মালাকার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সদ্বীপ কুমার রায় এবং পুলিশ আধিকারিক বাবুল দাস। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর এই মামলায় অভিযুক্ত স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়িকে দোষী সাব্যস্ত করে। সোমবার এই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৩৮ এবং ৩০৪ বি ধারায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

